আরথ্রাইটিস প্রতিরোধে করণীয়

Looks like you've blocked notifications!

জয়েন্টের প্রদাহকে সাধারণত আরথ্রাইটিস বলা হয়। এতে গাঁট ব্যথা, গাঁট ফুলে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হয়। আরথ্রাইটিস প্রতিরোধে কিছু বিষয় মেনে চলা প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করা, শাকসবজি খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা ইত্যাদি।

আরথ্রাইটিসের প্রতিরোধের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৭৪তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. এ কে এম মতিউর রহমান। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : আরথ্রাইটিসের প্রতিরোধের বিষয়ে একটু বলুন?

উত্তর : কারণ অনুযায়ী আরথ্রাইটিসের প্রতিরোধ করা যায়। একিউট আরথ্রাইটিস যেগুলো, ইনফেকশনের কারণে যেগুলো হয়, সেটা আমরা প্রতিরোধ করতে পারি। যখন ডেঙ্গু অথবা চিকুনগুনিয়া হয়, সেগুলো থেকে যে প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেগুলো করতে পারি। মশার কামড় থেকে দূরে থাকা, মশার ওষুধ ব্যবহার করা ইত্যাদি করলে আমরা একিউট সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে পারি।

আর সেপটিক আরথ্রাইটিক রয়েছে, টিউবার কুলার আরথ্রাইটিস – এগুলো তো নির্দিষ্ট রোগ, এগুলোতে চিকিৎসা করতে হয়।

ক্রনিক আরথ্রাইটিস তো আসলে মাল্টিফ্যাকটেরিয়াল, সরাসরি প্রতিরোধ করা যায় না। এগুলোর ক্ষেত্রে মদ্যপান ত্যাগ করে, ধূমপান এড়িয়ে গিয়ে,নিয়মিত ফলোআপে এসে প্রতিরোধ করা যায়।

শাক সবজি প্রচুর পরিমাণে খাওয়া, ফল খাওয়া ইত্যাদি করলে প্রতিরোধ করা যায়। পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।

এভাবে কিছু বিষয় পালন করলে আরথ্রাইটিস প্রতিরোধ করা অনেকটা সহজ হয়।