প্রদাহজনিত কোমর ব্যথার কারণ কী?

Looks like you've blocked notifications!

কোমর ব্যথার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। সাধারণ থেকে জটিল কারণেও কোমর ব্যথা হয়। এর মধ্যে একটি কোমর ব্যথা হয় প্রদাহজনিত কারণে।

এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৯৪৭তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মিনহাজ রহিম চৌধুরী। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউমাটোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : প্রদাহজনিত কোমর ব্যথার কারণ কী?

উত্তর : প্রদাহজনিত কোমর ব্যথার একটি নাম এনকাইলোজিং স্পনডিলাইটিস। কোমরে তীব্র ব্যথা হয়। আজকাল অনেক নাম একসঙ্গে জড়িয়ে বলা হয়।

এর কিছু কারণ জেনেটিক। বংশপরম্পরায় হয়। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা যদি সাধারণভাবে বলি, তাহলে প্রদাহজনিত বাত কিন্তু হয়। আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি থাকে। এর দায়িত্ব হলো শরীরকে পাহারা দেওয়া। এরা কিন্তু হঠাৎ করে প্রতারণা করে। তারা নিজেরাই জয়েন্ট, মাংসপেশি, হাড় এগুলোকে আক্রমণ করে। একটি সময় ছিল, পৃথিবীতে এর কোনো ভালো চিকিৎসা ছিল না। এখন কিন্তু অনেক রকম ভালো ওষুধ বের হয়েছে। আমরা এখনো বলি একে নির্মূল করা যায় না, তবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

অনেক সময় কিন্তু বয়স্কদের ম্যালিগন্যান্সি বা ক্যানসারজাতীয় রোগ হয়। তাহলে আমরা যদি ব্ড় মাপের রোগের কথা বলি, এটিই। তবে বেশিরভাগই সাধারণ কোমর ব্যথা। এগুলো নিয়ে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। এগুলো সাধারণত নড়াচড়ার সমস্যার কারণে হয়, যেভাবে দাঁড়ানো দরকার, যেভাবে করা দরকার, সেটি না করতে পারার জন্য এমন হয়। ধীরে ধীরে ভেতরে আঘাত হয়। এগুলো হঠাৎ তীব্র আকার ধারণ করে। এরপরও আমরা বলছি যে বেশিরভাগ রোগীরই ব্যথা চলে যাবে। কারো কারো ক্ষেত্রে হয়তো মাঝেমধ্যে আক্রমণ হতে পারে। তবে মাঝেমধ্যে আক্রমণ হলে সেটিও বেশিদিন থাকবে না। তিন দিন/চার দিন/পাঁচ দিনের মধ্যে চলে যাবে। একেবারেই শুয়ে থাকতে হবে বিছানায়, এটা মোটেও সঠিক নয়। কেবল তিন সপ্তাহ/চার সপ্তাহ আমাকে হাসপাতালে থাকতে হবে, এটারও প্রয়োজন নেই। খুব তীব্র আকারে ব্যথা হলে দুই/তিন দিন কেউ হয়তো বিশ্রাম নিতে পারেন। ব্যথাটা কমে গেলে বাড়ির মধ্যে পায়চারি করবেন, হাঁটবেন, তারপর যত দ্রুত সম্ভব কর্মস্থলে ফিরে যাবেন। এটাই স্বাভাবিক।

অনেক সময় বাংলাদেশে টিবি রোগেও কিন্তু কোমর ব্যথা হয়। অনেক সময় কিছু ফোড়া হয়। এখান থেকে কোমরে ব্যথা হতে পারে।

আরেকটি সমস্যা রয়েছে ডিস্ক প্রলাপস। ডিস্ক বের হয়ে গিয়ে নার্ভ রয়েছে, সেখানে চাপ দেয়। তখনকার ব্যথা কিন্তু ভিন্ন। এটা পায়ে চলে যায়, সেটা কিন্তু একেবারে হাঁটুর নিচে যাবে, পায়ের পাতা পর্যন্ত। সেখানে কিন্তু বেশিরভাগ রোগী কনজারভেটিভ চিকিৎসা ভালো হয়ে যায়। কিছু কিছু রোগীর সার্জারি লাগবে। তবে সার্জারি কাদের লাগবে? যাদের অবশ অবশ লাগে পায়ের দিকের জায়গাগুলো, যাদের প্রস্রাব-পায়খানায় সমস্যা হচ্ছে, এই দলের রোগীদের সার্জারি লাগবে।