জন্মের সময় হাতে আঘাত : চিকিৎসা কী?

Looks like you've blocked notifications!

অনেক ক্ষেত্রে অসাবধানতার কারণে জন্মের সময় শিশুর হাতে আঘাতের ঘটনা ঘটে। এসব ক্ষেত্রে চিকিৎসা কী?

এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৯৯১তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মহিউদ্দীন। বর্তমানে তিনি জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে হ্যান্ড অ্যান্ড মাইক্রো সার্জারি বিভাগে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত। 

প্রশ্ন : শিশুর জন্মের সময় হাতে আঘাতের ব্যবস্থাপনা কীভাবে করা হয়?

উত্তর : ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আমরা ভাগ করি। একটি হলো সম্পূর্ণ প্যারালাইসিজ হয়ে যাওয়া। আরেকটি হলো পারশিয়াল প্যারালাইসিস হয়ে যাওয়া। পারশিয়াল প্যারালাইসিসটা আমরা বেশি পেয়ে থাকি। কাঁধের পাঁচটি স্নায়ু রয়েছে। এর মধ্যে সি ফাইভ ও সি সিক্স আঘাত পেলে আমরা আর্প পলসি বলি।  এটি আমাদের জন্য সুবিধার। আর প্যান পলসি হলে, সম্পূর্ণ প্যারালাইসিস হয়, সেটি কঠিন। দুটোর ক্ষেত্রেই প্রথমে স্নায়ুর সার্জারি করা হতো। 

বাচ্চাদের স্নায়ুর কাটা থাকে অল্প, তাই, পুনর্গঠন করতে পারে। স্বভাবতই বাচ্চাদের পুনর্গঠন ক্ষমতা বড়দের তুলনায় অনেক। সেই জন্য আমরা প্রথমে তিন মাস দেরি করব। তিন মাস পরে যদি দেখা যায় হাতের কোনো ধরনের উন্নতিতেই যাচ্ছে না, তাহলে আমরা ধরে নিতে পারি, প্যান ব্র্যাকেল পেক্সাস ইনজুরি হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে আমরা
অস্ত্রোপচারে যেতে পারি। আর যদি দেখা যায় হ্যান্ড ফাংশন ফিরে আসছে বা একটু আঙ্গুল নাড়াচ্ছে, বা রিস্ট নাড়াচ্ছে, তাহলে সেই ক্ষেত্রে আমরা অন্তত ছয় মাস দেরি করব। দেখা যায়, ধীরে ধীরে হাতের অনেক কার্যক্রম ফিরে আসছে। এই ধরনের বিষয়গুলো বাবা মায়ের জন্য বিশাল মানসিক ট্রমা হিসেবে কাজ করে। তাদের নিশ্চিত করতে হবে এ ধরনের শিশুদের জন্য অনেক কিছু করার রয়েছে এবং এই হাত ঠিক হয়ে যাবে। ১০০ তে ১০০ ঠিক না হলেও একশর কাছকাছি যাবে। এভাবে তাদের নিশ্চিত করতে হবে। অন্যান্য অপচিকিৎসা থেকে তাদের বিরত রাখতে হবে এবং নিয়মিত ফলোআপে রাখতে হবে।