উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে ৯ পরামর্শ

Looks like you've blocked notifications!
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা মেনে চলুন। ছবি : সংগৃহীত

জীবনযাত্রার পরিবর্তন এনে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। বংশগতভাবে উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা কমানো সম্ভব নয়। তবে এ রকম ক্ষেত্রে যেসব উপাদান নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেগুলোর ব্যাপারে বেশি মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে করণীয় বিষয়ে রইল কিছু পরামর্শ।  

১. অতিরিক্ত ওজন কমাতে হবে
খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। একবার লক্ষ্য অনুযায়ী ওজনে পৌঁছালে সীমিত খাওয়া উচিত এবং ব্যায়াম করা জরুরি। ওষুধ খেয়ে ওজন কমানো বিপজ্জনক। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওজন কমানোর ওষুধ না খাওয়াই ভালো।

২. খাদ্য গ্রহণে সতর্কতা 
কম চর্বি ও কম কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। যেমন : খাসি ও গরুর মাংস, কলিজা,  মগজ, গিলা, গুর্দা, ডিম কম খেতে হবে। কম তেলে রান্না করা খাবার এবং ননী তোলা দুধ, অসম্পৃক্ত চর্বি, যেমন—সয়াবিন, ক্যানোলা, ভুট্টার তেল অথবা সূর্যমুখীর তেল খাওয়া যাবে। বেশি আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা ভালো। আটার রুটি ও সুজি জাতীয় খাবার পরিমাণমতো খাওয়া ভালো। 

৩. লবণ নিয়ন্ত্রণ
তরকারিতে প্রয়োজনীয় লবণের বাইরে অতিরিক্ত লবণ পরিহার করতে হবে।

৪. মদপান 
অতিরিক্ত মদপান পরিহার করতে হবে। 

৫. নিয়মিত ব্যায়াম 
সকাল-সন্ধ্যা হাঁটাচলা, সম্ভব হলে দৌড়ানো, হালকা ব্যায়াম, লিফটে না চড়ে সিঁড়ি ব্যবহার ইত্যাদি।

৬. ধূমপান বর্জন
ধূমপান অবশ্যই বর্জনীয়। ধূমপায়ীর সংস্পর্শে থেকে দূরে থাকুন। তামাক পাতা, জর্দা, গুল লাগানো ইত্যাদি পরিহার করতে হবে। 

৭. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ 
ডায়াবেটিস থাকলে অবশ্যই সেটি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। 

৮. মানসিক ও শারীরিক চাপ সামলাতে হবে
নিয়মিত বিশ্রাম, সময়মতো ঘুমানো, শরীরকে অতিরিক্ত ক্লান্তি থেকে বিশ্রাম দিতে হবে। নিজের শখের কাজ করা ইত্যাদির মাধ্যমে মানসিক শান্তি বেশি হবে।

৯. রক্তচাপ নিয়মিত পরীক্ষা
নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে গিয়ে রক্তচাপ পরীক্ষা করানো উচিত। যত আগে উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়ে, তত আগে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং জটিল রোগ বা প্রতিক্রিয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

লেখক : ডিন, মেডিসিন বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।