বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস

বাংলাদেশে যক্ষ্মার বর্তমান পরিস্থিতি

Looks like you've blocked notifications!

আজ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। দিবসটি উপলক্ষে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০৩৭তম পর্বে কথা বলেছেন ডা.  মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। বর্তমানে তিনি বারডেম জেনারেল হাসপাতালে বক্ষ্যব্যাধি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : বাংলাদেশে এই দিবস ঘিরে কী করা হচ্ছে? এবারের দিবসের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় কী?

উত্তর : এবারের প্রতিপাদ্য– ‘নেতৃত্ব চাই যক্ষ্মা নির্মূলে, ইতিহাস গড়ি সবাই মিলে’। অর্থাৎ যক্ষ্মা নির্মূলে সবার নেতৃত্ব দরকার, সবার এগিয়ে আসা দরকার। শুধু সরকারের পক্ষে, একটি এনজিওর পক্ষে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষে যক্ষ্মা নির্মূল করা সম্ভব নয়। সমাজের সর্বস্তরে যে যেখানে আছে, সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে যক্ষ্মা নির্মূলে। সবাই যদি অংশগ্রহণ করে তাহলে যক্ষ্মা নির্মূল করা সম্ভব। এবার এর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

প্রশ্ন : বাংলাদেশে যক্ষ্মা পরিস্থিতি এখন কোন পর্যায়ে রয়েছে?

উত্তর : আপনি জেনে খুশি হবেন যে আগে যক্ষ্মা আরো বেশি ছিল, সবচেয়ে ভয়াবহ যক্ষ্মা আক্রান্ত ২২টি দেশ রয়েছে। এর ভেতরে আমাদের অবস্থান ছিল ষষ্ঠতম। ২০১৫ সালের আগে এটি ছিল। এখন এটি সপ্তমতম। একটু উন্নতি হয়েছে। এর জন্য অনেক দিন লেগেছে। স্বাধীনতার পর থেকে আমরা খারাপ ছিলাম। এই প্রথমবার সপ্তমে আসল। আর আমাদের দেশে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা দিন দিন কমছে। আগে প্রতি এক লাখের ভেতরে পুরোনো রোগী ছিল ৪৫০, এখন আরো কমে ৪৩০ হয়েছে। নতুন রোগীর সংখ্যা আগে ছিল ২২৫, এখন প্রতি এক লাখে হয়েছে ২১০। রোগীর মৃত্যুর হার প্রতি এক লাখে ছিল ৪৫ জন। এখন ৪০ জন। সেটি কিন্তু আস্তে আস্তে উন্নতি করেছে। এটি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে হয়েছে। এটিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম। তারা যক্ষ্মার সার্বিক নিয়ন্ত্রণে এর চিকিৎসা প্রতিরোধে  কাজ করে থাকে। তাদের সবাই দিক নির্দেশনা দেয়। তাদের সঙ্গে অনেক এনজিও রয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তারা এটা নির্মূলে সাহায্য করে। তবে এটি কেবল এনজিও বা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।