বন্ধ্যাত্ব কেন হয়?
বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। এই সমস্যার কারণ কী, এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০৫৬তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. রাশিদা বেগম। তিনি ইনফার্টিলিটি কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের প্রধান পরামর্শক।
প্রশ্ন : একজন দম্পতি কী সমস্যা হলে আপনারা বলবেন যে তারা বন্ধ্যাত্বে ভুগছে?
উত্তর : কোনো দম্পতি অবশ্যই প্রজনন বয়সের মধ্যে যখন বাচ্চা নেওয়ার চেষ্টা করে, এক বছরের মধ্যে যদি বাচ্চা না হয়, একই সঙ্গে এক বছর কোনো জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ ছাড়া যদি তারা চেষ্টা করে, আর এতে যদি সন্তান না হয়, তাহলে একে আমরা বলি বন্ধ্যাত্ব।
প্রশ্ন : বন্ধ্যাত্বের কারণ কী?
উত্তর : না হওয়ার তো নিশ্চয়ই অনেক কারণ রয়েছে। বাচ্চা কীভাবে হয়, সেখান থেকে যদি ধরি, ওই জিনিসগুলো যদি অনুপস্থিত থাকে সেখান থেকে বন্ধ্যাত্ব হয়। ছেলেদের সন্তান হওয়ার জন্য লাগে শুক্রাণু। মেয়েদের থাকে ডিম্বাণু। এ দুটো একত্রিত হয়েই সন্তান ধারণ হয়।
ভ্রূণ এক সময় জরায়ুতে বসে। আস্তে আস্তে মানব শিশু জন্ম হয়। প্রথমে এ দুটো থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে দেখা হয় তাদের কোনো সমস্যা রয়েছে কি না। পুরুষদের যে ভ্রুণ থাকে সেটি যদি পুরোপুরি না পায়, তাহলে ভ্রুণ পাওয়া গেল না। অন্যদিকে মেয়েদের যদি ডিম্বাণু তৈরি না হয়, তৈরি না হলেও যদি সে আসতে না পারে, টিউবে যদি আসতে না পারে তাহলে ডিম্বাণু পাওয়া যায় না। ভ্রুণ আর ডিম্বাণু না পাওয়া গেলে সন্তান ধারণ হয় না। ভ্রুণের একটি গুণগত মান রয়েছে, সংখ্যা ঠিক থাকতে হবে। এই বিষয়গুলো নিয়ে সে ভালো ভ্রুণ দিল। ভ্রুণ গেল, টিউব দিয়েও এলো, তবে ইউট্রাসে কোনো সমস্যা রয়েছে, তাহলে ভ্রূণটা তার বের হয়ে যাবে, ঋতুস্রাব হয়ে যাবে। এই পুরো চক্রটার যেকোনো জায়গায় ব্যাঘাত ঘটলে সন্তান নিতে পারবে না।