কণ্ঠস্বর কেন ভেঙে যায়?
কণ্ঠস্বর বিভিন্ন কারণে ভেঙে যেতে পারে। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০৫৯তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মনজুরুল আলম। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইএনটি ও হেড-নেক সার্জারি বিভাগের ইউনিটপ্রধান ও অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : কণ্ঠস্বরের যত্ন বলতে কী বোঝানো হয়?
উত্তর : কণ্ঠস্বরের যত্নে যাওয়ার আগে আমরা বলতে চাই, কণ্ঠস্বর কেন ভেঙে যায়? স্বরভঙ্গের কারণগুলো যদি আমরা একটু আলোচনা করি, তাহলে দর্শকের কাছে এটি আরো সহজ হয়ে দাঁড়াবে।
সাধারণ সর্দি-জ্বর থেকে বারবার আমাদের কণ্ঠস্বর নষ্ট হয়। এ ছাড়া স্বরনালির প্রদাহ বা ইনফেকশনের কারণে ল্যারিংজাইটিস, ফ্যারিংজাইটিসের কারণেও আমাদের স্বরভঙ্গ হয়ে যায়। এ ছাড়া জন্মগতভাবে স্বরনালিতে যদি ট্যাকার মালেসিয়া হয়, স্বরনালিতে যদি কনজেনিটাল ভোকাল কর্ড ওয়েব হয়, তাতেও স্বরনালিতে পরিবর্তন হয়।
আমাদের ভোকাল কর্ড ক্যানসার আক্রান্ত হলে, ভোকাল কর্ড ছাড়া স্বরনালি পুরোটা আক্রান্ত হলে, খাদ্যনালির আশপাশেও ক্যানসারে আক্রান্ত হলে, সেটাও স্বরনালিকে আক্রান্ত করে আমাদের স্বরভঙ্গের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
প্রশ্ন : অনেক সময় আমরা দেখি একজন মানুষের অনেক দিন ধরে গলা ভেঙে গেছে, আর ঠিক হচ্ছে না। তাহলে কি সে ধরে নেবে তার ক্যানসার হয়েছে?
উত্তর : না, তার দেখা উচিত। সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিকে দুই বা তিন সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে যদি ভালো না হয়, তখন তাকে চিন্তা করতে হবে, এর অন্য কোনো কারণ রয়েছে। তখন দ্রুত নাক কান গলা বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে।
প্রশ্ন : স্বরভঙ্গে সমস্যা নিয়ে এলে প্রথম আপনারা একে কীভাবে দেখেন? কী পরামর্শ দেন?
উত্তর : ইদানীং ভিডিও ল্যারেঙ্গেস্কোপির মাধ্যমে আমরা ভোকাল কর্ডের পলিপ, নডিউল, যেকোনো অসুস্থ অবস্থা নির্ণয় করতে পারি। এ ছাড়া যদি আরো বেশি করতে হয়, তাহলে আমরা আরেকটি পরীক্ষা করি। ভোকাল কর্ডের যে পেশি সেটি দেখি এবং প্রতিটা কম্পন আমরা অনুভব করতে পারি। সে অনুযায়ী আমরা চিকিৎসা করি।