কণ্ঠপেশাজীবীদের কণ্ঠের যত্নে করণীয়
কিছু পেশা রয়েছে, যেখানে কণ্ঠই সম্বল। কণ্ঠের কাজই এখানে বেশি করতে হয়। যেমন : সংগীতশিল্পী, গায়ক, শিক্ষক ইত্যাদি। তাঁদের কণ্ঠের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন পড়ে।
কণ্ঠপেশাজীবীদের কণ্ঠের যত্নে করণীয় স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০৫৯তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মনজরুল আলম। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইএনটি ও হেড-নেক সার্জারি বিভাগের ইউনিটপ্রধান ও অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : এমন কিছু পেশা রয়েছে, যাঁদের সারা দিন কথা বলে থাকতে হয়। তাঁদের ক্ষেত্রে আসলে কী করণীয় স্বরকে ঠিক রাখার জন্য বা ভালো রাখার জন্য?
উত্তর : যাঁরা কণ্ঠপেশাজীবী, কণ্ঠই যাঁদের পেশা, অর্থাৎ নায়ক, গায়ক, উকিল, শিক্ষক এঁদের কণ্ঠের বেশি যত্ন নিতে হবে। এঁদেরই বেশি কণ্ঠস্বর ভঙ্গের সমস্যা হয়। রাস্তার পাশের হকার- এঁদের জন্য এটি অত্যন্ত প্রয়োজন। তাঁদের ক্ষেত্রে ঠান্ডা, অ্যালার্জিক খাবার নিষেধ। এর সঙ্গে কণ্ঠ ব্যবহার করার আগে তাঁরা ব্যায়াম করবেন। একজন খেলোয়াড় যখন খেলতে যান, মাঠে নামার পরে যেমন ওয়ার্মআপ হয়, তেমনি একজন গায়ক বা ভালো বক্তা বা উকিল তাঁর কণ্ঠ যখন ব্যবহার করবেন, তার আগে তাঁকে ওয়ার্মআপ হতে হবে। তার আগে বিড়বিড় করে কথা বলার অভ্যাস করা, প্রয়োজনীয় পানি পান করা, তাকে মাঝেমধ্যেই স্পিচ থেরাপিস্টের কাছে যেতে হবে। স্বরনালি ছাড়াও কিন্তু জিহ্বা, গাল, দাঁত, নাক এগুলোর যত্ন নিতে হবে।
এ ছাড়া ভয়েজ রেস্টে থাকতে হবে। কথা ছাড়াও চোখ, মুখ, হাসি, কপাল, ভ্রু, হাত, ইশারা এগুলো অবলম্বন করে কথা বোঝাতে হবে। সে উচ্চ স্বরে কথা বলবে না। পর্যাপ্ত পানি পান করবে। ঘুমাতে যাওয়ার তিন-চার ঘণ্টা আগে খাবার শেষ করবে, যেন এসিডিটি হয়ে তার কণ্ঠস্বরের ব্যাঘাত না ঘটে।