হিমোফিলিয়ার লক্ষণ কখন প্রকাশ পায়?
আজ বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস। হিমোফিলিয়া জন্মগত রক্তরোগ। এর লক্ষণের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০৬০তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মুনিম আহমেদ। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগের রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : লক্ষণগুলো কখন প্রকাশ পায়?
উত্তর : রোগ প্রকাশ পাওয়ার ব্যাপ্তিটা আসলে রোগটা কোন পর্যায়ে রয়েছে, তার ওপর নির্ভর করে। ফ্যাক্টর এইট ও নাইনের পরিমাণের ওপর এই রোগটিকে মাইল্ড, মডারেট ও সিভিয়ার নির্ভর করে। তিনটি ভাগে ভাগ করে ফেলা রয়েছে।
এখন যারা জটিল, যাদের তীব্র ঘাটতি রয়েছে, এদের ক্ষেত্রে ঠিক চার মাস বা ছয় মাস বয়স থেকে লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে। কেন? কারণ, চার মাস বা ছয় মাসের পর থেকে বাচ্চা সবসময় মা-বাবার কোলে থাকে, অথবা বিছানায় থাকে। যখন তারা প্রথম হামাগুড়ি দিতে শিখে তখন জয়েন্টে আঘাত হয়। কনুই জয়েন্ট অথবা হাঁটুর জয়েন্টে আঘাত হয়। আঘাত হলে সেখানে রক্তপাত ঘটে। যেহেতু তার শরীরে ক্লটিং ফ্যাক্টর নেই, এই রক্তপাত ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। তাই প্রথম তীব্র ঘাটতি জনিত হিমোফিলিয়ার উপসর্গ প্রকাশ পায় একেবারে ছোটবেলা থেকে।
আর মাইল্ড বা মডারেট যারা তাদের ক্ষেত্রে এই রোগটা অনেক পরে গিয়ে প্রকাশ পায়। সারকামসেশন করতে গেলে তখন আর হঠাৎ করে রক্ত বন্ধ হচ্ছে না।
নারীরা যেহেতু বাহক থাকে, নারীদের ক্ষেত্রে এই রোগটা প্রকাশ পায় না। খুব কম ক্ষেত্রে নারীদের হতে পারে। যদি একজন পুরুষ, একজন বহনকারী নারীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, তাদের যদি কোনো সন্তান হয়, মেয়ে, সে কিন্তু হিমোফিলিয়া রোগ বহন করবে না, তার রোগটা প্রকাশ পেয়ে যাবে।