খাতনা কখন করা জরুরি?
খাতনা বা সারকামসেশন একটি প্রচলিত বিষয়। তবে এটি কখন করা জরুরি, এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০৭৪তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মো. আব্দুস সাত্তার। বর্তমানে তিনি পাবনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : সারকামসেশন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : আসলে সারকামসেশন বা খাতনা যেই জিনিসটি এটি একজন ছেলে শিশুর ক্ষেত্রে খুব প্রয়োজনীয়। এটি কখনো কখনো করা খুব জরুরি হয়ে পড়ে। কখনো কখনো বা নির্দিষ্ট সময় পর করলেও চলে।
প্রথমেই জেনে নিই কখন জরুরি ভিত্তিতে করব? জরুরি যে অবস্থাগুলো রয়েছে সেগুলোর মধ্যে একটি হলো ফাইমোসিস। শিশুটির পেনিসের মাথায় যে চামড়া থাকে, সেটি যদি লেপটে থাকে, ছিদ্র যদি বাবা-মা দেখতে না পান, সেই ক্ষেত্রে সেটাই হলো মূলত ফাইমোসিস। এই ক্ষেত্রে ওই শিশুটি যখন প্রস্রাব করতে যাবে, তখন মাথার সামনের দিকটি ফুলে যাবে।
প্রশ্ন : এতে কি সে কোনো ব্যথা অনুভব করবে বা অন্য আর কোনো সমস্যা হবে?
উত্তর : এটি যদি বেশি ফোলা থাকে এবং এর সঙ্গে মূত্রনালি যেটি রয়েছে, এতে যদি সংক্রমণ হয়ে থাকে, সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যথা করতে পারে। এই সমস্যাটি যদি হয়ে থাকে, তাহলে খাতনা করে নেওয়াটা ভালো। এই ক্ষেত্রে আমরা বয়স দেখব না। কেবল নির্ণয়ের পর পরই আমরা খাতনা করব। এটা জন্মগতভাবেও হতে পারে। এই ফাইমোসিসটি একটি শিশু জন্মগতভাবে নিয়ে আসে। এটি হলো এক নম্বর। দুই নম্বর হলো প্যারা ফাইমোসিস। এই শিশুটি যখন একটু বড় হয়, এই অবস্থায় এর ফোর স্কিনটা, মাথার সামনে যে চামড়া, সেটা উল্টে যায়। যদি ছিদ্রতে গিয়ে এই চামড়া উল্টে যায়, এই চামড়াটা ফেলে দিতে হবে। এই ফুলে যাওয়া কেন? কারণ, রক্ত পেনিসের মাথার দিকে যেতে থাকে। কিন্তু শিরা দিয়ে এটি ফেরত আসতে পারে না। এতে পেনিসের মাথাটা আস্তে আস্তে ফুলে যায়। ফুলে যাওয়ার কারণে সেখানে ভয়াবহ অবস্থার তৈরি হয়। ভারী হয়ে যায়। এই ক্ষেত্রে দেরি না করে যারা শিশু সার্জন অথবা সার্জন তাদের দিয়ে সারকামসেশন করতে হবে। তাহলে ভালো হয়ে যাবে। তৃতীয় বিষয় হলো বারবার হওয়া ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন। আসলে মূত্রনালি বা মূত্রথলি এগুলোতে যদি বারবার ইনফেকশন হয়, সেই ক্ষেত্রে খাতনা জরুরি ভিত্তিতে করিয়ে নেওয়া ভালো। অথবা কোনো কারণে চেনের সঙ্গে পেন্ট খুলতে গিয়ে বা কোনো খেলনার সঙ্গে যদি পেনিসের মাথার ফোর স্কিন যদি আটকে যায়, সেটা যদি আঘাত পায়, সেক্ষেত্রে দ্রুত করতে হবে। এগুলো আমি বলব, জরুরি অবস্থা।