হেপাটাইটিস ‘সি’-এর আধুনিক চিকিৎসা কী?

Looks like you've blocked notifications!

হেপাটাইটিস ‘সি’ এক ধরনের ভাইরাস। আর এটি দিয়ে লিভার আক্রান্ত হয়। তবে এখন এর উন্নত চিকিৎসা বাংলাদেশে রয়েছে। 

এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০৭৩তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. ফাওয়াজ হোসেইন শুভ।  বর্তমানে তিনি ইউনাইটেড হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোলজি বিভাগে জ্যেষ্ঠ পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : আর সি ভাইরাসের ক্ষেত্রে কী ধরনের আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি বাংলাদেশে আপনারা করছেন?

উত্তর : আজ থেকে বছর খানেক আগেও সি ভাইরাসের চিকিৎসা খুব দামি ছিল। আগে আমরা আরএনএ করতাম। আরএনএ করে দেখতাম সি ভাইরাসের সংখ্যা কত।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে জেনোটাইপ থ্রি হলো খুব গুরুত্বপূর্ণ, আর এটাই খুব হচ্ছে। সেটা করে দেখতাম। আগে আমরা পেগ ইন্টারফেনন দিতাম সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সি ভাইরাসের আগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে পেগ ইন্টারফেনন দিতাম। সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় আট থেকে ১০ লাখ টাকা চিকিৎসা ব্যয় হতো। যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে, গত এক থেকে দুই বছরের মধ্যে। এখানে আমরা মুখে খাওয়ার ওষুধ নিয়ে এসেছি। ইউরোপিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের গাইডলাইন হিসেবে মুখে খাওয়ার ওষুধের ব্যবস্থাপনা চলে এসেছে। মুখে খাওয়ার এক ধরনের ওষুধ ব্যবহার করে থাকি যেটা সব জেনোটাইপে কাজ করে থাকে।  এগুলো কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যাচ্ছে। কিডনি আক্রান্ত যেসব রোগী, যাদের ডায়ালাইসিস হচ্ছে, তাদের কিন্তু এ ধরনের ওষুধ নিয়মিত ডোজ হিসেবে দেওয়া যাচ্ছে। শুধু ডায়ালাইসিস করার পর ডায়ালাইসিস রোগীদের ক্ষেত্রে এই ওষুধগুলো আমরা দিচ্ছি। 

ইউনাইটেড হাসপাতালে অনেক রোগী আসে চায়না ও রাশিয়া থেকে। কিছুদিন আগেও প্রায় ১০ থেকে ১২ জন রোগী চায়না থেকে এসেছিল। তারা সি ভাইরাসে আক্রান্ত। ওদের জেনোটাইপ করা রয়েছে। তারা কেবল আমাদের কাছে এসে তাদের সম্পূর্ণ চেকআপ করে চিকিৎসা ও মেডিকেশন চার্ট নিয়ে গেছে। তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। 

আসলে বাইরের বেশ কয়েকটি দেশ থেকে আমাদের কাছে এখন রোগীরা আসছে। এর কারণ হলো অন্য যে ধরনের ওষুধগুলো বেকন বা অন্য কোম্পানিগুলো তৈরি করছে, এদের কাঁচামালের খরচ অনেকটা কম হচ্ছে, সব কিছু মিলিয়ে খরচ কম। আর আমাদের ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি অনেক ভালো হচ্ছে এবং আমাদের চিকিৎসকরা ভালো ব্যবস্থাপনা দিচ্ছেন। এ কারণে চায়না বা রাশিয়া থেকে আমাদের কাছে অনেক রোগী আসছে।