কিডনি রোগীদের কখন ফিস্টুলা করতে হয়?

Looks like you've blocked notifications!

কিডনি অকেজো হয়ে পড়লে ডায়ালাইসিস করার প্রয়োজন পড়ে। আর ডায়ালাইসিস করার জন্য ফিস্টুলা করতে হয়। এটি এক ধরনের অস্ত্রোপচার। 

ফিস্টুলার বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০৭৬তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. সাকলায়েন রাসেল। বর্তমানে তিনি ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভাসকুলার সার্জারি বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। 

প্রশ্ন : ফিস্টুলা বিষয়টি কী?

উত্তর : ফিস্টুলা আসলে আমাদের দেশে অনেক জনপ্রিয় শব্দ। ফিস্টুলা দেখা যায় পায়ু পথে হয়, নারী জনিত রোগে হয়। আর কিডনি রোগীদের যে ফিস্টুলা, একে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলি হিমোডায়ালাইসিস এক্সেস। একে সার্জারি করা হয় দেখে বলা হয় হিমোডায়ালাইসিস এক্সেস সার্জারি বা আর্টিওভেনাস ফিস্টুলা বা এবি ফিস্টুলা।

ফিস্টুলা কেন বলছি, এটি লাইফলাইন অব কিডনি ডিজিজ। 

একজন লোক যখন কিডনি রোগে আক্রান্ত হন, শেষ পর্যায়ে এসে কিন্তু আর ওষুধে তিনি ভালো থাকতে পারেন না। তখন কিডনির কাজ করার জন্য তাকে ডায়ালাইসিসের আশ্রয় নিতে হয়। ডায়ালাইসিস করতে হলে শরীরে একটি বিশেষ অস্ত্রোপচার করে দুটো রক্তনালিকে জোড়া লাগিয়ে দেওয়া হয়। এই যে অস্ত্রোপচার, একেই বলা হয় ফিস্টুলা। ফিস্টুলা তৈরির একটিই উদ্দেশ্য, এর মাধ্যমে ডায়ালাইসিস করে এই মানুষটিকে বাঁচিয়ে রাখা। দেখা গেছে, একজন লোক ডায়ালাইসিস করে ৩০ থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত বেঁচে রয়েছেন, একেবারেই অকেজো কিডনি নিয়ে। এ কারণেই একটি ধমনি কিংবা শিরার সঙ্গে যে সংযোগ ঘটানো হলো, এই অস্ত্রোপচারকে বলা হয় ফিস্টুলা। এর  মাধ্যমে একজন কিডনি রোগী তার জীবনের বাকি অংশ কাটাতে পারেন ডায়ালাইসিস করে।