হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ কী?
হার্ট অ্যাটাক একটি বিপজ্জনক অবস্থা। সময়মতো চিকিৎসা না করলে এটি জীবনঘাতী হতে পারে। তাই লক্ষণগুলো জেনে রাখা জরুরি।
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০৭৯তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. আয়েশা রফিক চৌধুরী। বর্তমানে তিনি জালালাবাদ রাগিব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : কী ধরনের উপসর্গ হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে হতে পারে?
উত্তর : প্রথমে দেখা যায় যে আমরা যখন পরিবারের সঙ্গে কথা বলি বা ওদের সঙ্গে কথা বলি, তখন দেখা যায় তিনি খুব অলসভাবে চলাফেরা করেন। ধূমপান করেন। খুব অল্প সংখ্যক ক্ষেত্রে মাদকাসক্তিটাও অনেক দায়ী। এই বিষয়টি হার্টের ওপর চাপ ফেলে। আবার পরিবারের ইতিহাস নিলেও আমরা দেখি যে ওই পরিবারের লোকজন একটু হার্টের সমস্যায় ভুগছে।
আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখি সে চিকন হলেও তার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি, যেটা পারিবারিকভাবে হাইপার লিপিডিমিয়া বা ডিস লিপিডিমির কারণে হতে পারে। সে ভাবছে আমি তো অনেক চিকন লোক, আমিতো অনেক অল্প বয়স্ক, আমাকে কেন কোলেস্টেরলের পরীক্ষা করাবেন। সেই ক্ষেত্রে পারিবারিক ইতিহাস বা নিজের চলাফেলা এগুলো কিছুটা রয়েছে।
যখন আমাদের কাছে আসে, তখন বলে, কাজ করতে গেলে বুকে ব্যথা হয়, সিঁড়ি ওঠলে বুকে কষ্ট হয়, বুক ভার লাগে, হাত পা বাম দিকে একটু ঝিঁ ঝিঁ ধরে, বুক ধরফর করে। এগুলো নিয়ে সাধারণত আসে।
প্রশ্ন : অনেক স্লিম ছেলেমেয়েরা মনে করে আমরা তো স্থূল নই, আমরা কেন কোলেস্টেরলের পরীক্ষা করব। তাদের কী বলে আশ্বস্ত করেন?
উত্তর : এখন সচেতনতা অনেক বেড়েছে। এখন সবাই মনে করে, আমার বুকে চাপ হলে, বুক ধরফর করলে আমি যাব চিকিৎসকের কাছে। আমরা যেভাবে উপদেশ দেই সেভাবেই তারা পরীক্ষাগুলো করতে রাজি হন, নিজেদের স্বার্থে। যেমন আমরা ইসিজি করি। ইসিজি করে আমরা অনেক ধারণা পেয়ে যাই। আর রক্তের পরীক্ষায় আমরা কোলেস্টেরলের মাত্রা দেখি এবং ডায়াবেটিস রয়েছে কি না সেটাও দেখে নিই। খুব সহজে আসলে এখন নির্ণয় করা যায়। যদি রোগী চলে আসে আমাদের ধরতে বেশি সময় লাগে না।