হৃদরোগ হওয়ার পর জীবনযাপনে পরামর্শ
রোগব্যাধি থেকে দূরে থাকতে পারাটাই আমাদের কাম্য। তবে এরপরও যদি হৃদরোগ হয়ে যায়, তাহলে চিকিৎসার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা প্রয়োজন। আর তাহলে সুস্থ থাকা যাবে।
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০৭৯তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. আয়েশা রফিক চৌধুরী। বর্তমানে তিনি জালালাবাদ রাগিব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : যুবক বয়সে হৃদরোগ ধরা পড়লে বাকি জীবনে সুস্থ থাকতে কী পরামর্শ দিয়ে থাকেন?
উত্তর : রোগী যদি অনেক স্থূল হন, তাকে সাধারণত আমরা ওজন কমাতে বলি। দৈনিক ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট হাঁটতে বলি। হাঁটার বিষয়টি সপ্তাহে পাঁচ দিন হলেও চলবে। আমরা হাঁটতে বলি, ওজন কমাতে বলি, খাওয়ার ক্ষেত্রে কোলেস্টেরল কম রয়েছে এমন খাবার খেতে বলি। পানি, শাকসবজি এগুলোর দিকে গুরুত্ব দিতে বলি।
এ ছাড়া কোনো রোগীর যদি এ রকম হয় যে হার্টের ওষুধ তার লাগবে, সে ক্ষেত্রে এসপিরিন বা যেসব ওষুধ আমরা সাধারণত হার্টের জন্য ব্যবহার করি, সেগুলোও অনেককে চিকিৎসাপত্রে দিই।
প্রশ্ন : ওষুধগুলো যখন চিকিৎসাপত্রে দেন, তখন কিসের ওপর নির্ভর করে?
উত্তর : সেটা আমরা শুরুতে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হই। নিশ্চিত হওয়ার পর আমরা যখন বুঝে নিই উনি হার্টের রোগী, এই ওষুধগুলো ছাড়া উনি ভালো থাকবেন না, অন্য অসুখগুলো বেড়ে যাবে। আবার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে আমরা সেভাবেই পরামর্শ দিই যে ওষুধগুলো আপনাকে কষ্ট করে হলেও খেতে হবে। ফলোআপ সাধারণত তিন থেকে চার মাস পর পর হলেও চলবে। কেউ যদি বুঝে যান যে আমার জন্য কোন কোন জিনিস করা ভালো নয় বা এসব বুঝে চললে আমার ভালো হবে, এসব রোগী চিকিৎসকের কাছে কিছু কম এলেও হয়। তবে ধূমপানের অভ্যাস ছেড়ে দেওয়াটা খুব জরুরি।
আমরা বোঝাই, আমরা যত ওষুধপত্র দিই না কেন, আপনি যদি এই অভ্যাসগুলো না ছাড়েন, তাহলে আপনার ঝুঁকিটা থেকেই গেল।