হিস্টিরিয়া কী?
হিস্টিরিয়া এক ধরনের মানসিক রোগ। খিঁচুনি এ রোগের একটি অন্যতম লক্ষণ। হিস্টিরিয়ার বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০৮১তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. সৈয়দ ওয়াহিদুর রহমান। বর্তমানে তিনি ডেল্টা মেডিকেল কলেজের নিউরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : হিস্টিরিয়া কী?
উত্তর : হিস্টিরিয়া শারীরিক নয়, মানসিক রোগের লক্ষণ। মস্তিষ্কের ওপর খুব চাপ পড়ে, যেটি মস্তিষ্ক নিতে পারে না। এর মধ্যে আতঙ্ক, ভয় এগুলোও কাজ করে। এটা কোনো শারীরিক অসুখ নয়, এটি মানসিক অসুখ। এই খিঁচুনির সঙ্গে উপসর্গে দেখা যায়, একজনের খিঁচুনি হলে ভয় পেয়ে আরেকজনের খিঁচুনি হয়ে গেল। স্কুলে বাচ্চা থাকে। অনেক বাচ্চা একই বয়সে থাকে। একজন ভয় পেয়ে গেল, সেই ভয় আরেকজনের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে। একজনের মা হয়তো খিঁচুনি রোগে আক্রান্ত, সেই বাচ্চা তাকে দেখল, মা হয়তো সত্যিকার অর্থেই খিঁচুনি রোগে আক্রান্ত, ছোট একটি বাচ্চা দেখল তার মায়ের খিঁচুনি হচ্ছে, বাচ্চাটা ভয় পেয়ে যেতে পারে। ভয় পেয়ে তারও একটি খিঁচুনি তৈরি হয়ে যেতে পারে। এটা তো আর মূল অসুখ নয়। অসুখ দেখে তার মস্তিষ্কের চাপ গ্রহণ ক্ষমতা যেটা, তা সহ্য ক্ষমতার বাইরে চলে গেলে যে খিঁচুনি হয়, সেটা হিস্টিরিয়া।
এখন মৃগী রোগের সঙ্গে হিস্টিরিয়ার প্রধান পার্থক্য রয়েছে। তফাৎ হলো হিস্টিরিয়া রোগে যদি অজ্ঞান হয়ে যায়, পড়ে যায়, তারা কোনো সময় আহত হয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আহত হয় না। তাদের জিহ্বা কেটে যাওয়া, মুখ দিয়ে ফেনা বের হয়ে যাওয়া, প্রস্রাব-পায়খানা কাপড়ে করে দেওয়া এসব সমস্যা হয়। একা একা কখনো হয় না, সবার সামনে হয়। কিন্তু মৃগী রোগ যখন, তখন যেখানে সেখানে হতে পারে। সে জন্য এই জিনিসগুলো আলাদা করা যায়।
প্রশ্ন : ছেলেদের কম হয়, মেয়েদের বেশি হয়। বা এ বয়সে বেশি, এর কারণ কী?
উত্তর : এর কারণ আসলে বলা মুশকিল। মেয়েদের শারীরিক গঠন আর ছেলেদের শারীরিক গঠনের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। হরমোনাল কিছু বিষয় আলাদা রয়েছে। মেয়েদের হরমোন, ছেলেদের হরমোন আলাদা। মস্তিষ্কের সহ্য ক্ষমতার ক্ষেত্রে মেয়েদের ও ছেলেদের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। এটা মস্তিষ্কের নিউরোহরমোনের কারণে হয়।