মৃগী রোগ কি নিরাময়যোগ্য?

মৃগী বা এপিলেপসি একটি জটিল রোগ। খিঁচুনি এই রোগের অন্যতম উপসর্গ। রোগটি নিরাময়যোগ্য কি না,এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০৮১তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. সৈয়দ ওয়াহিদুর রহমান। বর্তমানে তিনি ডেলটা মেডিকেল কলেজের নিউরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : মৃগী রোগ কি নিরাময়যোগ্য?
উত্তর : নিরাময়যোগ্য কি না, সেটি এক কথায় বলা খুব মুশকিল। সাধারণত সেকেন্ডারি যেটি, সেটি অনেক সময় নিরাময় করা যায়। যেমন মস্তিষ্কের টিউমারের জন্য একটি লোকের খিঁচুনি হচ্ছে, টিউমার অস্ত্রোপচার করে ফেলে দিলে তার যে আনুষাঙ্গিক চিকিৎসা রয়েছে সেগুলো করলে নিরাময় হতে পারে। যদি টিউমার ক্যানসার জাতীয় হয়ে থাকে, তাহলে তার ক্যামোথেরাপি, রেডিওথেরাপি দিলে আমরা একে নিরাময় করে দিতে পারি। তাহলে তার ভালো হয়ে যাবে। তবে প্রাইমারি এপিলেপসি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভালো হয়ে যায়। তবে দীর্ঘদিন ওষুধ দিতে হবে। আর আমি যদি বলি ১০০ জনের মধ্যে ১০০ জন ভালো হয়ে যায়, এই উত্তর ঠিক নয়।
এর মধ্যে পাঁচ ভাগ ১০ ভাগ কেসে দেখা যায়, সব ওষুধ প্রয়োগ করার পরও রোগটা ভালো হচ্ছে না। একে বলে রিফ্লেক্টোরি ইপিলেপসি। এগুলো সহজে ভালো হয় না অনেক ওষুধ ব্যবহার করেও।
প্রশ্ন : শিশু বয়সে এপিলেপসি হলে কত বছর পর্যন্ত ওষুধ খেতে হয়? ভালো হওয়ার পরও কতদিন চালাতে হয়?
উত্তর : সাধারণত বলা হয় তিন থেকে পাঁচ বছর অ্যাটাক যদি না হয়, তাহলে আমরা মনে করি ওষুধটা আস্তে আস্তে তুলে নেয়া সম্ভব। শেষ অ্যাটাকের পর থেকে তিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত খাবে। এই দিন থেকে আর অ্যাটাক হয়নি তার। কিন্তু এই কথাটা ১০০ ভাগ সত্য নয়। এরপরও দেখা যাচ্ছে ওষুধ না খাওয়ার পরও সে ভালো রয়েছে। হয়তো দেখা যাচ্ছে পাঁচ বছর পর সে আবার আক্রান্ত হয়ে গেল। তখন আবার ওষুধ শুরু করতে হয়। সে জন্য এখানে সরাসরি কোনো উত্তর পাওয়া যাবে না। এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, লক্ষণ মুক্ত হওয়ার পরও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ বন্ধ করা ঠিক হবে না।