সাইনোসাইটিসের সঙ্গে সাধারণ মাথাব্যথার পার্থক্য জানেন?
মাথাব্যথা সাইনোসাইটিসের অন্যতম লক্ষণ। তবে সব মাথাব্যথাই সাইনোসাইটিস নয়। সাইনোসাইটিসের সঙ্গে সাধারণ মাথাব্যথার কিছু পার্থক্য রয়েছে।
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০৮২তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মনজুরুল আলম। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইএনটি ও হেডনেক সার্জারি বিভাগের ইউনিট প্রধান ও অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : অনেক সময় তো সাধারণ সর্দি-কাশিতে নাক দিয়ে পানি আসতে পারে। সাইনোসাইটিসের সঙ্গে সাধারণ মাথাব্যথার পার্থক্য কীভাবে করা যায়?
উত্তর : সাধারণত নাকে যে পানি আসে, এটি অ্যালার্জিক রাইনাইটিস। নাকে যদি ভাইরাল বা অ্যালার্জির কারণে প্রদাহ হয়, তাতে করে নাকের মাংস স্ফীত হয়ে যায়। স্ফীত হয়ে গেলে নাক থেকে কিছু রস নির্গত হয়। স্ফীত হওয়ার কারণে নাক বন্ধ বন্ধ হয়। তবে সাইনোসাইটিসে নাক দিয়ে অনবরত পানি বা হাঁচি আসে না, যেটা অ্যালার্জিক রাইনাইটিসে আসে। সাইনোসাইটিসে মাথাব্যথাটাই প্রচণ্ড আকারে আসে। এর সঙ্গে একিউট সাইনোসাইটিস হলে জ্বর হয়। তার সঙ্গে মাথাব্যথা, কাশি হতে পারে। ক্রনিক (দীর্ঘমেয়াদি) হয়ে গেলে সাধারণত জ্বর থাকে না, তবে মাথাব্যথা প্রচণ্ড আকারে দেখা যায়। এর সঙ্গে সঙ্গে নাক থেকে শ্লেষ্মা আসে। নাক বন্ধ থাকে। নাকের পেছন দিয়ে সর্দির মতো আসে। এটাকে কাশের মাধ্যমে বের করতে হয়।
প্রশ্ন : একিউট (স্বল্পমেয়াদি) অবস্থায় রয়েছে, নাকি ক্রনিক (দীর্ঘমেয়াদি) হয়ে গেছে, এটি কি কেবল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে গেলে জানা যাবে?
উত্তর : বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করে থাকেন। অর্থাৎ নাক ও নাকের পার্শ্বগহ্বরে যদি একটি এক্স-রে করা যায়, তাহলে দেখা যায়। এ ছাড়া এর সঙ্গে কোনো পলিপ, টিউমার বা ক্যানসার জাতীয় কিছু রয়েছে কি না, এ জন্য আমরা কিছু পরীক্ষা করি। এতে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে নাকে যে সাইনাসগুলো রয়েছে, সেগুলো প্রতিটি অংশ দেখা যায়। তাতে করে সাইনোসাইটিস ছাড়াও যদি কোনো পলিপ থাকে বা সাইনাসে যদি কোনো টিউমার থাকে, ক্যানসার থাকলে সেটিও নির্ণয় করা যায়।