কোলোরেক্টাল ক্যানসার কেন হয়?

Looks like you've blocked notifications!

সাধারণত কোলোন ও রেক্টামের ক্যানসারকে কোলোরেক্টাল ক্যানসার বলা হয়। কোলোরেক্টাল ক্যানসার হওয়ার পেছনে কিছু ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় রয়েছে।  

এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০৮৫তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. হাসান শাহরিয়ার কল্লোল। বর্তমানে তিনি ঢাকার প্রেসক্রিপশন পয়েন্টে সার্জিক্যাল অনকোলজি বিভাগে পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : কোলোন ক্যানসারের ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয় ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়?

উত্তর : কোলোরেক্টাল ক্যানসারে কিছু ঝুঁকির কারণ রয়েছে। মূলত বংশগত। বংশগত বিষয় তো রয়েছেই। কিন্তু সবচেয়ে বেশি যেটি বলা হচ্ছে এডিনোমা কারসিনোমা সিকুয়েন্স। কারো যদি কোলোনে পলিপ হয়, সেটির পরে ক্যানসারে রূপান্তরিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কারো যদি কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে তাহলে আশঙ্কা রয়েছে। কোষ্ঠকাঠিন্য থাকা মানে হলো, বেশি সময় ধরে জীবাণুগুলো শরীরের সংস্পর্শে থাকে। তবে মূলত হলো বংশগত ও এডিনোমা , কোলোনের পলিপের কারণে সমস্যা হতে পারে।

প্রশ্ন : খাদ্যাভ্যাস, জীবন যাপনের ধরন- এসবের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রয়েছে কি?

উত্তর : কোলোন ক্যানসারের সঙ্গে খাদ্যাভ্যাস একটি বড় বিষয়। যেসব খাবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়, আপনি দেখেন আমাদের দেশে আমরা গরুর মাংস খাই, শাক সবজি যদি কম খাই, সেক্ষেত্রে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য হবে। অর্থাৎ যেসব খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়াবে, সেক্ষেত্রে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য হবে। পশ্চিমা খাবার যেমন ফাস্টফুড, বার্গার এসব খেলে হবে। প্রচুর পরিমাণ আঁশ নেই, খুব বেশি মাংস কেন্দ্রিক, এসব খাবার আপনার জন্য ক্ষতিকর। এমনকি ধূমপানের সঙ্গেও এক ধরনের সম্পর্ক রয়েছে।