শিশুদের রোজা রাখতে করণীয়
শিশুদের দেহে বড়দের তুলনায় পানির ভাগ বেশি থাকে। রোজাতে শিশুদের পানিশূন্যতা বেশি হয়। রোজাতে শিশুদের অনেকক্ষণ খাবার না খেয়ে থাকতে হয় বলে মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, চোখে ঝাপসা দেখার সমস্যা হতে পারে।
দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার কারণে শরীরে জমানো গ্লাইকোজেন শক্তির উৎস কমতে থাকে, শরীরে গ্লুকোজ সরবরাহ কমে যায়। এতে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কাজকর্ম নষ্ট হয়ে মনোযোগ কমে যেতে পারে।
শিশুদের পানিশূন্যতার সমস্যা থেকে বাঁচতে ইফতারের পর থেকে বেশি পরিমাণে পানি, শরবত, স্যালাইন পান করতে দিন। তবে ইফতারের সময় শিশুরা যেন খুব ঠান্ডা পানি পান না করে, সেদিকে অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে। বেশি ঠান্ডা পানি পান করলে গলাব্যথা, টনসিলাইটিস, ঠান্ডা-জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে।
শিশুদের খাবারে সব সময় সতর্ক থাকতে হয়। বাইরের খাবার খেলে শিশুর ডায়রিয়া, টাইফয়েড, আমাশয়, বদহজমসহ বিভিন্ন ধরনের পেটের পীড়ায় ভুগতে পারে।
তেলজাতীয় খাবারও বেশি খেলে শিশুদের পেটের সমস্যা হতে পারে। ভাজাপোড়া খাবার বেশি খেলে পেটব্যথা, বদহজম হতে পারে। তাই যতটা সম্ভব তেল ও ভাজাপোড়া খাবার শিশুদের কম খেতে দিন। রোজাদার শিশুদের বাসায় বানানো খাবার খেতে দিন।
রোজার দিনগুলোতে শিশুদের পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম নিতে নিন। এতে শিশুর ক্লান্তি কম লাগবে।
লেখক : সভাপতি, বিশুদ্ধ খাদ্য চাই এবং সহকারী অধ্যাপক, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ, সাভার।