সেহরির খাবার কেমন হবে?
সারা দিন রোজা রাখার জন্য সেহরির খাবারটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাই সেহরিতে কেমন খাবার হওয়া উচিত, এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০৮৯তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. তাওহীদা রহমান ইরিন। বর্তমানে তিনি শিওর সেল মেডিকেল ডার্মাটোলজি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : সেহরিতে খাদ্যতালিকা কেমন হবে?
উত্তর : সকালের নাশতা যেমন আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবারের অংশ, তেমনি সেহরি আমাদের রোজার খাবারের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। তবে অনেকে আমরা সেহরি করতে চাই না। অথবা সেহরিতে খাবারের আয়োজন বেশি করে ফেলি। অনেকে ভাবে, সারা দিন না খেয়ে থাকব। তাই সেহরিতে গুরুপাক খাবার, খিচুড়ি, বিরিয়ানির আয়োজন করে থাকে। এগুলো একেবারেই খাওয়া যাবে না। আরেকটি বিষয় রয়েছে, যাদের সকালের নাশতার সঙ্গে চা-কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তারা কিন্তু দুধ দিয়ে কফি বা চা খেতে চায়। তারা ভাবে যে এটি আমাদের সারা দিনের কর্মশক্তি দেবে। এখানে উল্টো ঘটনা ঘটে। চা-কফি কিন্তু আমাদের শরীরের পানিশূন্যতার হার বাড়িয়ে দেয়।
প্রশ্ন : কেউ যদি লাল চা খেতে চান, সেটি কি ক্ষতি করবে?
উত্তর : সে ক্ষেত্রে আমার মনে হয়, চায়ের বিষয়টি ইফতারের পরেই রাখা ভালো। আর সেহরির খাবার অবশ্যই সহজপাচ্য হতে হবে। এমন খাবার হতে হবে যেন আমাদের পরিপাক ক্রিয়াকে সাহায্য করে। সেখানে আমাদের প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি ও আঁশযুক্ত খাবারকে রাখব। এখানে ওটমিল রাখতে পারি, মিষ্টিআলু রাখতে পারি। কমপ্লেক্স কার্ব, সঙ্গে প্রোটিনের মধ্যে আমরা মাছ, ডিম এগুলো রাখতে পারি। দুধ রাখব। আর ফলের মধ্যে আম, পেঁপে, কলা এই ফলগুলো কিন্তু আমাদের হজম শক্তি বাড়িয়ে দেবে। এর সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, বেটা কেরোটিন এগুলো থাকে। এগুলো আমাদের পানিশূন্যতার পরিমাণ কমিয়ে দেবে। ত্বক রাখবে উজ্জ্বল ও মসৃণ।
আমার মতে, সন্ধ্যারাতের খাবারটা না খাওয়াও তেমন ক্ষতি নয়। তবে সেহরি যদি আমরা না খাই, পুরো দিনের জন্য আমাদের শরীরের কোষগুলোর শক্তি একেবারেই কমে যাবে।