স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে পরামর্শ
সাধারণত জটিল ধরনের সমস্যায় স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ দেওয়া হয়। শ্বাসকষ্টের রোগীদের ক্ষেত্রে কিছুটা জটিল অবস্থায় ওষুধটি সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন ব্যথাবেদনাতেও স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ দেওয়া হয়।
তবে অনেক সময় রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ দীর্ঘদিন সেবন করেন। আর এটি ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০৭১তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. এম এ ছাত্তার সরকার। বর্তমানে তিনি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : স্টেরয়েডের বিষয়ে কি পরামর্শ থাকে আপনাদের?
উত্তর : খুবই প্রয়োজনীয় একটি ওষুধ। ক্ষেত্র বিশেষে আমরা স্বল্প সময়ের জন্য দেই। বঙ্কিয়াল অ্যাজমাতে আমরা রেসকিউ থেরাপি হিসেবে দেই। মানে সে যখন খুব বেশি শ্বাসকষ্ট নিয়ে আসে, তখন তাদের স্বল্প সময়ের জন্য, সাত থেকে ১০ দিন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ২১ দিন পর্যন্ত মুখে খেতে দেই। কতটুকু সে খাবে, এই বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট ডোজ রয়েছে। এটি দিলে সে অনেক ভালোবোধ করে। আরাম বোধ করে।
এ রকম আরো কিছু ওষুধ রয়েছে, শরীর ব্যথা করে জন্য দেওয়া হয়। এগুলো খেলে সে আরামবোধ করে। সে পরে এই প্রেসক্রিপশন দেখে, দোকান থেকে কিনে কিনে মাসের পর মাস খাচ্ছে। এই ওষুধ দীর্ঘমেয়াদি খেলে শরীরের প্রতিটা অঙ্গে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়।
প্রশ্ন : আমার মনে হয় চিকিৎসককেও এ বিষয়ে বুঝিয়ে বলা উচিত। আপনার পরামর্শ কী?
উত্তর : আমাদের দায়িত্ব হলো তাকে ভালো করে বিষয়টি বুঝিয়ে বলা। প্রয়োজনে অন্য কালি দিয়ে লেখা যায়। বলে দিল যে আপনি সাত থেকে ১০ দিন খাবেন। এর বেশি খাবেন না।
তবে কিছু কিছু ওষুধ রয়েছে যেগুলো আমরা নিয়মিত দেই উপায় না দেখে। রোগীর জীবন রক্ষা করার জন্য। তার সঙ্গে অন্যান্য ওষুধ দেওয়া হয়। সে সবসময় চিকিৎসকের তত্ত্বাবধায়নে থাকবেন। চিকিৎসকের কাছে রুটিন চেকআপে থাকবেন। তবে আমাদের প্রধান দায়িত্ব হলো স্টেরয়েড যখন লিখব, রোগীরা যেন লম্বা সময় ধরে না খায়, বার বার এই বিষয়টি বুঝিয়ে দিতে হবে। রোগীর যারা সঙ্গে আসেন, তাদেরও এটি বুঝিয়ে দিতে হবে।