প্রসূতি মায়ের উচ্চ রক্তচাপ : গুরুত্ব কেন দেবেন?

Looks like you've blocked notifications!

অনেক প্রসূতি মাকে উচ্চ রক্তচাপে ভুগতে দেখা যায়। প্রসূতি মায়ের উচ্চ রক্তচাপের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০৯৫তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. নাজনীন রশীদ। বর্তমানে তিনি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের গাইনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : উচ্চ রক্তচাপ কখন বলব? এই উচ্চ রক্তচাপকে গর্ভাবস্থায় কেন গুরুত্ব দিতে হবে?

উত্তর : প্রথমে আমি বলতে চাই উচ্চ রক্তচাপ জনিত কারণে মাতৃমৃত্যুর হার অনেক। এটি হতে পারে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ। এটি কিন্তু অনেক বেশি। তো এই কারণেই আমাদের গুরুত্ব দেয়া উচিত। বিষয়টি কী, কতটুকু যত্ন নিতে হবে, কী করলে এর জটিলতা থেকে অনেকটা রক্ষা পাওয়া যাবে- এগুলো জানাতে হবে।

আমাদের রক্তচাপের দুটো অংশ। একটি সিস্টোলিক, আরেকটি ডায়াস্টোলিক। নীচের একটি প্রেশার, উপরের একটি প্রেশার। নীচের  ক্ষেত্রে ৬০ থেকে ৯০ আমরা স্বাভাবিক মাত্রা বলি। সিস্টোলিকটাকে বলি ১২০ থেকে ১৪০ মিলিমিটার অব মার্কারি। আমাদের প্রেশারের এই পয়েন্ট, সিস্টোলিক যদি ৯০ এর ওপরে যায় অথবা ৯০ থাকে, আর সিস্টোলিক যদি ১৪০ এর বেশি বা এরকম থাকে, আর দুটো পর্বে যদি আমি এই বাড়ন্ত প্রেশার পাই, যদি ছয় ঘণ্টা ব্যবধানে আমি যদি দুবারই তার প্রেশার বাড়তি পাই, তখন আমি চিন্তা করবো, তার উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। আর এটি তার গর্ভাবস্থায় হঠাৎ করে দেখা দিতে পারে। এটি একটি দল। আরেকটি দল হতে পারে তার আগে থেকেই প্রেশার ছিল, উচ্চ রক্তচাপ ছিল, তবে তিনি জানতেন না। তিনি আমার কাছে হয়তো প্রথম তিন মাসের মধ্যে আসলেন, অথবা পাঁচ মাসের আগেই আসলেন, তখন তার রোগ নির্ণয় হলো। তখন আমরা তাকে ক্রনিক হাইপারটেনশন বা এসেনশিয়াল হাইপার টেনশনের দলে ফেলব। তার প্রি এক্সিসটিং বিপি বেশি ছিল, তবে তিনি জানতেন না। চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পর তার রোগ নির্ণয় হলো। সেই প্রেশার হলো গর্ভাবস্থার আগেই।

আরেকটি দল পাই আমরা গর্ভাবস্থার যে পরিবর্তন, এই পরিবর্তনের কারণে তার প্রেশার দেখা দিল। সেই দলটি হলো পাঁচ মাসের পর। অর্থাৎ গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় অংশে। এটি হলো দুটো গ্রুপ যার গর্ভাবস্থা জনিত কারণে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিল, একে বলা যেতে পারে জেসটেশনাল হাইপারটেনশন। এদের প্রেশারটা পুণরায় হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের রোগী হিসেবে তিনি থেকে যেতে পারেন। তবে এর সংখ্যা কম।