হঠাৎ কিডনি অকেজো হওয়ার লক্ষণ
একজন লোক, যার কিডনি স্বাভাবিকভাবে কাজ করছিল, কিছু কিছু কারণে হঠাৎ করে তা অকেজো হয়ে যেতে পারে। এই হঠাৎ কিডনি অকেজো হয়ে যাওয়াকে একিউট কিডনি ফেইলিওর বা আকস্মিক কিডনি বৈকল্য বলা হয়। এ ধরনের কিডনি বৈকল্যের চিকিৎসা জরুরি ভিত্তিতে করা প্রয়োজন। তা না হলে জীবনহানির আশঙ্কা থাকে। তাই এটাকে রেনাল ইমার্জেন্সিও বলা হয়। সঠিক সময় সঠিক চিকিৎসা করা হলে কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এ জন্য চিকিৎসকরা এটাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।
হঠাৎ কিডনি বিকল হলে কী করে বোঝা যায় :
একিউট কিডনি ফেইলিওরের সাধারণ লক্ষণগুলো হচ্ছে হঠাৎ করে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া। প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে ধীরে ধীরে রোগীর শরীর ফুলে যায়। শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট হয় ও উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়। রোগীর ক্ষুধা ও রুচি কমে যায়। কেউ কেউ বারবার বমি করে। কোনো কোনো রোগীর খিঁচুনি হয় এবং কেউ কেউ অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। কোনো কোনো রোগীর হৃদযন্ত্রের সমস্যা হতে পারে। কিডনি ফেইলিওরের কারণের ওপর অন্য লক্ষণগুলো ভিন্ন ভিন্ন হয়। যেমন : যাদের ডায়রিয়া, রক্তক্ষরণ ও গর্ভকালীন জটিলতা থেকে সাংঘাতিক কোনো ইনফেকশনের জন্য কিডনি ফেইলিওর হয়েছে, তাদের জ্বর থাকতে পারে। অনেকের আবার জন্ডিস দেখা দিতে পারে। কারো কারো শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে। যাদের কিডনি ফেইলিওর কোনো সাংঘাতিক ধরনের নেফ্রাইটিসের কারণে হয়েছে, তাদের মধ্যে নেফ্রাইটিসের লক্ষণ প্রকাশ পাবে। এদের অনেকের প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যেতে পারে। যদি কারো কিডনি ফেইলিওরের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে হয়ে থাকে, তাদের সঙ্গে আলাপ করে তারা যে ওষুধগুলো খেয়েছে, তা জানা যাবে।
যাদের একিউট কিডনি ফেইলিওরের কারণে কিডনিতে পাথর, তাদের কারো কারো প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যায়, কোনো কোনো সময় প্রস্রাবের সঙ্গে পাথর বের হয়, কোমর ও তলপেটে ব্যথা ও জ্বর হতে পারে।
কী করবেন?
রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ।