রেডিওথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : করণীয়

Looks like you've blocked notifications!

ক্যানসারের চিকিৎসায় তিনটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এগুলো হলো, সার্জারি, রেডিওথেরাপি, ক্যামোথেরাপি। অনেক সময় এগুলোর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়।

রেডিওথেরাপির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় করণীয় বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩১১০তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. আরমান রেজা চৌধুরী। বর্তমানে তিনি ডেলটা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অনকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : রেডিওথেরাপি নিয়ে অনেকের মধ্যে ভীতি কাজ করে। সেক্ষেত্রে রোগীদের ভয় কীভাবে দূর করেন?

উত্তর : কথাটা ঠিক। রেডিওথেরাপি কথাটা শুনলে অনেক রোগী অনেক ঘাবড়ে যায়, ভয় পেয়ে যায়। এমনকি আমাদের কাছে অনেক রোগী জিজ্ঞেস করেন যে কারেন্টের শকের মাধ্যমে রেডিওথেরাপি দেয়া হবে কি না। আসলে রেডিওথেরাপির বিষয়টি তেমন নয়। এই বিষয়ে আস্বস্ত করতে চাই। দর্শকদের উদ্দেশে বলতে চাই যে সাধারণভাবে যে এক্স-রে করা হয়, সেই এক্স-রে যেই পদ্ধতিতে করা হয় বা সিটি স্ক্যান যে পদ্ধতিতে করা হয়, সেই একই পদ্ধতিতে রেডিওথেরাপি দেওয়া হয়। কিন্তু এখানে ক্যানসারকে নির্মূল করার জন্য রেডিওথেরাপি দেওয়া হয়। তো এই ক্ষেত্রে কোনো ইলেকট্রিক শক, কোনো কারেন্ট বা কানো কিছু দেওয়ার সুযোগ নেই। এমনকি রোগী অনেক সময় বুঝতেও পারবে না। প্রথম দিকে তার যখন রেডিওথেরাপি শুরু হবে বা রেডিও থেরাপি চলবে, সেই সময় রোগী বুঝতেও পারবে না যে তার রেডিওথেরাপি দেওয়া হচ্ছে। বেশ কিছু রেডিওথেরাপি হয়ে যাওয়ার পর রেডিওথেরাপি সংক্রান্ত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় যখন চামড়াগুলো একটু কালো হয়ে যায়, তখন রোগী বুঝতে পারে যে ওই জায়গাতে রেডিওথেরাপি দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া রেডিওথেরাপি নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

প্রশ্ন : কিছু জটিলতার কথা বলছিলেন, সেক্ষেত্রে কোনো ব্যবস্থা কি রয়েছে, যেটি দিয়ে আগে থেকে রোগীকে আশ্বস্ত করতে পারেন?

উত্তর : কোনো রোগী রেডিওথেরাপি পেলে তার আগে অবশ্যই রোগীকে বলে রাখা উচিত যে আপনার এই এই ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো হতে পারে। যেমন শরীরের যেকোনো অঙ্গগুলোতে রেডিওথেরাপি দেওয়া হলে সেখানে যে ত্বক রয়েছে, এটি কালো হয়ে যেতে পারে। আমরা ওই সময় রোগীদের পরামর্শ দেই যে আপনারা চামড়ার যত্ন নেবেন। কোনো কিছুর ঘষা লাগলে সেই চামড়াটা ওঠে যেতে পারে। সেই কারণে রোগীদের আগে থেকে বলে রাখি যেন তারা এই চামড়ার যত্ন নেন। পাশাপাশি রেডিওথেরাপি শরীরে দিলে কিছুটা খাদ্যের অরুচি, কিছুটা বমির ভাব, এই ধরনের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে। এসব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার জন্য আমরা আগে থেকেই রোগীকে জানিয়ে দেই। আগে থেকে জানলে তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার আশঙ্কা কম থাকবে। চিকিৎসাকে সঠিকভাবে গ্রহণ করার তার একটা আগ্রহ তৈরি হবে। এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলোর জন্য যে ওষুধগুলো চিকিৎসাপত্রে দেওয়া দরকার, সেই ওষুধগুলো দিয়ে চিকিৎসা যেন তাদের জন্য কিছুটা সহনশীল হয় সেই চেষ্টা করি।