মার্কারি ফিলিংয়ের স্বাস্থ্যঝুঁকি

মার্কারি ও অ্যালোয় দুটো উপাদান মিলে যেই ফিলিং করা হয় একে মার্কারি ফিলিং বলে। মার্কারি ফিলিংয়ের কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে।
মার্কারি ফিলিংয়ের স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩১৩০তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. সৈয়দ তামিজুল আহসান রতন। বর্তমানে তিনি রতন’স ডেন্টাল প্রধান পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : মার্কারি ফিলিংয়ের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে বলুন?
উত্তর : মার্কারি ফিলিংটা হলো কালো ধরনের একটি ফিলিং। এটি মার্কারি ও অ্যালোয়, এ দুটোর সমন্বয়ে একটি জিনিস তৈরি করা হয়, যেটা মুখের মধ্যে দিলে সবাই বলে যে কিছুক্ষণ পরে হাড় হয়ে যায়। মার্কারি লিকুইড মার্কারি, যেটা কোনো কালে দ্রবণীয় হয় না।
মার্কারির প্রভাবটা মুখের মধ্যে কী হয়? কোনো ফিলিং ছিল না, যার জন্য এই ফিলিং করা হতো। ৯২ সালে সিএনএন বলেছে, মার্কারির একটি প্রভাব রয়েছে শরীরের ওপর। এটি যেন ব্যবহার না করা হয়। বিশ্বব্যাপী অনেক দেশে কিন্তু বন্ধ হয়ে আসছে। ৯২ সাল থেকে রতন’স ডেন্টালে একটা মার্কারি ফিলিংও আমি করিনি। যে রোগী সেও ভ্যাপার নিচ্ছে, যে চিকিৎসক কাজ করে সেও এই ভ্যাপাটা নিচ্ছে। আস্তে আস্তে কী হচ্ছে? ওই যে আমার স্টাফটা সে ল্যাথারজিক হয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসক যে ফিলিংটা করছে তার শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে। দীর্ঘ দিন ধরে মার্কারি ভ্যাপার নিতে নিতে তার এই সমস্যা হতে পারে। এর কারণে আমরা মার্কারি ফিলিং করি না। আমরা স্লোগান দিয়ে আসতেছি যে মার্কারি ফিলিং করা যাবে না।
মার্কারি ফিলিংয়ের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে বলি। কী বিষয়ে ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে? প্রথমে বলি,রেসপেরেটোরি পদ্ধতির ওপর তার সমস্যা হচ্ছে। ফুসফুসে ক্যানসার হচ্ছে। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। এগুলো হলো রেসপেরেটোরি পদ্ধতির সমস্যা। আরো সমস্যা রয়েছে।
এরপর মস্তিষ্কের ওপর প্রভাব ফেলছে। মস্তিষ্কের ওপর কেন প্রভাব ফেলবে? মার্কারি যে প্রভাবটা মস্তিষ্কে সেটি হলো আস্তে আস্তে স্মৃতিশক্তি নষ্ট হচ্ছে। এরপর একটি ছেলের কর্মোদ্দোমটা হারিয়ে যাচ্ছে। এটি গেল মস্তিষ্কের সমস্যা। এরপর কিডনির ওপর চাপ পড়ছে। তার কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এরপর দেখা যাচ্ছে বারবার সে টয়লেটে যাচ্ছে। এসব জিনিসগুলো দেখা যাচ্ছে তার ব্যথা হচ্ছে। এরপর কী হচ্ছে? তার অ্যান্ড্রোক্রাইন পদ্ধতিতে প্রভাব পড়ছে। যাদের ডায়াবেটিস, তাদের দেখা যায় সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না।
আরো সবচেয়ে মারাত্মক বিষয় হলো গর্ভবতী নারী। স্বাভাবিক নারীদের তার ঋতুস্রাবের ওপর প্রভাব পড়ছে। দেখা যায়, যখন তার ঋতুস্রাব হয়,তার জটিল ব্যথা হয়। প্রচুর রক্তপাত হয়। এরপর যখন গর্ভাবস্থায় আসে তার প্রি ম্যাচিউর বেবি হতে পারে। অ্যাবোশন হতে পারে। কিডনি ফিলিংয়ের ওপর থেকে এই প্রভাবগুলো হচ্ছে।
পুরুষদেরও অনেক ধরনের সমস্যা হয়। শুধু এই মার্কারি ফিলিংয়ের জন্য। এখন সবাই সচেতন হয়ে গেছে, স্লোগান এসেছে। এখন মার্কারি ফিলিং আমরা করব না। দায়িত্বটা অনেকটাই চিকিৎসকদের ওপর বর্তায়।