ডেঙ্গু জ্বর হলে কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?
ডেঙ্গু জ্বর বেশ প্রচলিত রোগ আমাদের দেশে। ডেঙ্গু জ্বর হলে কখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে, এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩১৩২তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. কামাল সৈয়দ আহমেদ চৌধুরী। বর্তমানে তিনি বিআরবি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : ডেঙ্গু জ্বরে কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?
উত্তর : তীব্র জ্বর হলে জ্বরের জন্য সাধারণ ওষুধ প্যারাসিটামল আমরা সবাই জানি।প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ আপনি একটা করে দুই বার, তিন বার বা চার বার খেতে পারেন। তবে একটু সাবধান আমি বলব, ডেঙ্গু জ্বরের জন্য আপনি অন্য কোনো ওষুধ খাবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অন্য কোনো ওষুধ খাবেন না। এতে আপনার মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। রক্ত প্রবাহ চলে আসতে পারে। তাই জ্বর অত্যন্ত উচ্চ মাত্রায় চলে আসলে প্যারাসিটামল তিন বার/চার বার খেতে পারেন। দরকার হলে আপনি পায়খানার রাস্তায় ব্যবহার করতে পারেন। পায়খানার রাস্তায় ব্যবহারের একটি সুবিধা হলো, জ্বরটা খুব দ্রুত নেমে যায়। এরপরও যদি জ্বর না কমে ঠান্ডা পানির মধ্যে তোয়ালে ভিজিয়ে স্পঞ্জিং করতে পারেন। এর আগে আপনি যেটা করবেন কাপড় – চোপড় খুলে দেবেন। কারণ, কাপড় চোপড় খুললে তাপমাত্রাটা কমে যাবে। ফ্যানটা ছেড়ে দিবেন। ফ্যান খুব দ্রুত গতিতে ছেড়ে দেবেন। নতুন ধারণা হলো কাপড়-চোপড় খুলে দেবেন, ফ্যান ছেড়ে দেবেন, যাতে শরীর থেকে ইভাপুরেশন হয়ে তাপমাত্রাটা বের হয়ে যায়। এতেও যদি না কমে ঠান্ডা পানির মধ্যে তোয়ালে ভিজিয়ে সারা শরীর মুছতে থাকবেন। এতেও যদি না কমে আইসব্যাগের মধ্যে বরফ দিয়ে মাথায় দিলে আশা করি জ্বর কমে যাবে।
প্রশ্ন : র্যাশের জন্য যে চুলকানি- এর জন্য কী করতে হবে?
উত্তর : র্যাশ যাতে আপনার ক্ষতি না করে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। একটি জিনিস জানা দরকার, ডেঙ্গু জ্বরে র্যাশ যখন বের হয় তখন রক্তচাপ কমে যায়। এই রক্তচাপ যেন কমে না যায় সেজন্য আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চুলকানির জন্য ওষুধ খেতে হবে। আর রক্তচাপ যেন কমে না যায় সেজন্য অনেক পানি জাতীয় খাবার, পাশাপাশি ওরস্যালাইন পান করতে হবে। শুধু পানি পান করলে প্রেশার বাড়বে না। প্রেশার বাড়ার জন্য অত্যাবশ্যকীয় উপাদান হলো ওরস্যালাইন। এর পাশাপাশি অন্যান্য পানীয় পান করতে হবে। ধরুন, আপনি ডাবের পানি পান করতে পারেন। আপনি দুধ পান করতে পারেন। তবে আপনার ওরস্যালাইন পান করতে হবে। না হলে প্রেশার কমে যেতে পারে। আর চুলকানি বা অন্য কোনো উপসর্গের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। শরীর জ্বালাপোড়ার জন্য আপনি ওষুধ সেবন করতে পারেন।