টাইফয়েড জ্বর বেশি হওয়ার কারণ কী?

Looks like you've blocked notifications!

টাইফয়েড জ্বর বেশ প্রচলিত একটি রোগ। অনেকেই হয়তো ইতিমধ্যে এই রোগে ভুগেছেন। টাইফয়েড জ্বর এত বেশি হওয়ার কারণের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩১৪৩তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. রিয়াজ মোবারক।  

ডা. রিয়াজ মোবারক বর্তমানে ঢাকা শিশু হাসপাতালের এইচ ডিইউ ও আইসেলেশন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : টাইফয়েড জ্বরের কথা বলছিলেন। এর লক্ষণগুলো কীভাবে প্রকাশ পাবে? কতদিন ধরে এই জ্বর চলতে থাকবে?

উত্তর : যদি সাতদিনের বেশি জ্বর হয়, আমরা আশঙ্কা করি এটি টাইফয়েড জ্বর। টাইফয়েড জ্বর খুব প্রচলিত আমাদের দেশে। এটি সবার মধ্যে হয়, অনেকবার হয়। টাইফয়েড কিন্তু খুব সহজ অসুখ নয়। টাইফয়েড থেকে অনেক রকম অসুবিধা হতো এক সময়। সমস্যা হতো।

প্রশ্ন : টাইফয়েড জ্বর এত প্রচলিত কেন?

উত্তর : আমাদের এখন একটি প্রবণতা বাইরের খাবার খাওয়ার। আপনি দেখবেন এখন প্রচুর ফাস্টফুডের দোকান। এই খাবারের দোকানগুলো খুব আকর্ষণীয়। তারা সবকিছুই করছে। তবে আমার ধারণা, এদের রান্নাবান্নার ব্যবস্থা তেমন স্বাস্থ্যকর নয় বা খাবার পরিবেশনের আদর্শ তারা ধরে রাখতে পারে না। কিন্তু মানুষের আকর্ষণ, বিশেষ করে বাচ্চাদের আকর্ষণ এই ফাস্টফুডের প্রতি তীব্র। তারা এগুলো খাচ্ছে এবং তারা বায়নাও ধরে। এ থেকে আমার মনে হয় টাইফয়েড হওয়ার আশঙ্কা খুব বেশি।

একটি সময় ছিল, আমরা চটপটি, ফুচকাকেই দোষ দিতাম। খাবারের দোকানগুলো ফুড হাইজিন খুব বেশি মেনে চলছে না। টাইফয়েড হওয়ার এগুলো একটি বিশেষ কারণ। এই জন্য আমাদের সচেতন হতে হবে।

অবশ্য বাসায় মা-বাবার খাবার তৈরি করাটাও মুশকিল। বাবা- মা দুজনেই যদি চাকরিজীবী হন, খাবারের ব্যাপারে নির্ভর করতে হয় গৃহ পরিচারিকার ওপর। তাদের রান্না অনেক সময় বাচ্চাদের পছন্দ হয় না। এখনকার ছেলেমেয়েরা খাবারে একটু বৈচিত্র্য পছন্দ করে। ভাত, মাছ, ডাল এসব জিনিস তারা খুব বেশি খেতে চায় না। বাসার খাবার ভালো লাগছে না। ফাস্টফুড খেতে বাইরে চলে যাচ্ছি।