সম্মিলিত ফিজিওথেরাপি পরিষদের মানববন্ধন

Looks like you've blocked notifications!

জনস্বার্থে ফিজিওথেরাপি কলেজ ও কাউন্সিল বাস্তবায়নের দাবিতে চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় পূর্বঘোষিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী গতকাল রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। সম্মিলিত ফিজিওথেরাপি পরিষদ আয়োজিত এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে কয়েকশ স্নাতক ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থী, শিক্ষক, পেশাজীবী, জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করে।

মানববন্ধন চলাকালীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ তিন দিনের মধ্যে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিওথেরাপি এবং কাউন্সিল বাস্তবায়নের উদ্যোগ এবং সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন। সে আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে বক্তব্যের একপর্যায়ে সম্মিলিত ফিজিওথেরাপি পরিষদের মুখপাত্র ডা. দলিলুর রহমান বলেন, ‘বেঁধে দেওয়া তিন দিনের মধ্যে কোনো সমাধানের মুখ না দেখলে তিন দিন পর রাজধানীতে অবস্থান কর্মসূচি, ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।’

এ সময় আরো বক্তব্য দেন ডা. ইয়াসমিন আরা ডলি, ডা. ফরিদ উদ্দিন, ডা. মাকসুদুল আলম, ডা. খাইরুল ইসলাম, ডা. আরিফ জুবায়ের, ডা. আজিজুল ইসলাম, ডা. সাইফুল ইসলাম, ডা. মহসিন কবির লিমন,  ডা. মাসুম বিশ্বাস, ছাত্র প্রতিনিধি জাকারিয়া তমাল, জহিরুল হক, মারুফ, শান্তনু, পাপ্পু, নিরব, প্রান্তসহ আরো অনেকে। বক্তারা অবিলম্বে জনস্বার্থে ফিজিওথেরাপি কলেজ ও কাউন্সিল বাস্তবায়নের দাবি জানান।

গত ১৭ জুলাই জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জনস্বার্থে ফিজিওথেরাপি কলেজ ও কাউন্সিল বাস্তবায়ন দাবিতে সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ফিজিওথেরাপি পেশার জন্য একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান গড়তে ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে মহাখালীতে ফিজিওথেরাপি কলেজের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সোয়া পাঁচ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়। কলেজ ভবন নির্মাণের দাবিতে ছাত্রছাত্রীরা কয়েক বছরে রাজধানীতে চার দফায় ৫২ দিন আমরণ অনশনসহ অবস্থান ধর্মঘট, বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন ও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করার পর ২০০৯ সালে ওই জায়গায় কলেজ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুহুল হক। তারপর বস্তি উচ্ছেদ করা হয় এবং দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কাজ করার অনুমতি প্রদান করা হয়। কিন্তু কলেজ ভবনের কাজ গত সাত বছরে আর শুরু হয়নি । তাই আবারও বস্তি হয়। এর আগে বস্তিবাসীর পক্ষে রিটের নিষ্পত্তি করে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবৈধ দখলদারদের দুই মাসের সময় দিয়ে ফিজিওথেরাপি কলেজের জন্য জমি ছেড়ে দেওয়ার আদেশ ২০১৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ জারি করলেও এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। এমনকি মহামান্য রাষ্ট্রপতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ফিজিওথেরাপি কলেজ বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশ দিলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না ।