কিডনি রোগের কারণ কী

Looks like you've blocked notifications!

হঠাৎ কিডনি বিকল হওয়া, দীর্ঘমেয়াদী কিডনি বিকল হওয়া, সংক্রমণের কারণে কিডনির সমস্যা ইত্যাদি কিডনির রোগ। সাধারণ উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্থূলতা ইত্যাদি কারণে কিডনির রোগ হয়।

কিডনি রোগের আরো কারণের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩১৫০তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ। বর্তমানে তিনি বিআরবি হাসপাতালের কিডনি রোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : কিডনি রোগের প্রধান কারণ কী?

উত্তর : তিনটি কারণ। একটি হলো ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনি প্রদাহ, যাকে গ্লুমেরুলো নেফ্রাইটিস বলা হয়। এই তিনটি কারণে বাংলাদেশে ৮০ ভাগ কিডনি বিকল হয়। আর এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে স্থূলতা, ব্যায়াম না করা, ধূমপান। আবার আমরা যে ওষুধ খাই, অ্যান্টিবায়োটিক খাই এগুলো থেকে হতে পারে। এ ছাড়া পানি কম পান করা, তার সঙ্গে কিডনিতে পাথর হওয়া, বংশগত কিছু রোগ-এগুলো মিলিয়ে দেখা যায় কিডনি বিকল হয়।

৭০ থেকে ৮০ ভাগ কিডনি বিকল হওয়ার আগ পর্যন্ত কিডনির কোনো লক্ষণই প্রকাশ পায় না। রোগ নির্ণয়ের জন্য মাত্র দুটো পরীক্ষা। প্রস্রাব পরীক্ষা করে দেখবে যে অ্যালবুমিন যায় কি না, আর রক্তের ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা করে দেখবে যে ১০০ ভাগের মধ্যে কিডনি কতভাগ কাজ করছে। এ দুটো পরীক্ষা যদি করা হয় তাহলে আগে রোগ নির্ণয় করা যাবে। বিশেষ করে যাদের বংশে ডায়াবেটিস রয়েছে, যাদের বয়স চল্লিশের ওপরে, যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, যাদের ওজন বেশি, যারা ধূমপান করে, যারা ব্যথার ওষুধ দীর্ঘদিন ধরে খাচ্ছে, যাদের কিডনিতে পাথর হয়েছে, যাদের সংক্রমণ হয় ঘন ঘন, এরা যদি বছরে দুই বার এই পরীক্ষাগুলো করে, তাহলে তারা প্রাথমিক অবস্থায় বুঝতে পারবে যে কিডনি আক্রান্ত হচ্ছে কি না। বাংলাদেশে সব হাসপাতালে এই পরীক্ষাগুলো করা যেতে পারে। এসব পরীক্ষা তেমন ব্যয়বহুলও নয়।