ব্যথামুক্ত স্বাভাবিক প্রসব পদ্ধতির সুবিধা-অসুবিধা
প্রসবের সময় ব্যথা হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে এখন ব্যথামুক্ত প্রসব করার পদ্ধতি বের হয়েছে। এ ক্ষেত্রে এপিডোরাল অ্যানেসথেসিয়া ব্যবহার করা হয়। এপিডোরাল অ্যানেসথেসিয়ার সুবিধা-অসুবিধার বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩১৫২তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. এ কে এম আখতারুজ্জামান।
ডা. এ কে এম আখতারুজ্জামান বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানেসথেসিয়া, আইসিইউ ও পেইন মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : এপিডোরাল অ্যানেসথেসিয়ার সুবিধা কী?
উত্তর : মায়ের ব্যথা হলে, আমরা এটি দিলাম। মায়ের আর কোনো ব্যথা হলো না, তবে সে তার প্রসব নিয়মিত করতে থাকল। তার অন্যান্য অঙ্গ আক্রান্ত হচ্ছে না। এটি এক নম্বর। দুই নম্বর হলো যে অনেক মা ব্যথা সহ্য করতে পারেন না। না পেরে তারা সিজারিয়ান সেকশনে চলে যাচ্ছে। সেটা আমাদের করার দরকার পড়ল না। অথবা যদি কখনো সিজারিয়ান সেকশন করতেই হয়, তাহলে আর কোনো অ্যানেসথেসিয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না। ওই যে এপিডোরাল ক্যাথেডার দিয়েছে, এর মাধ্যমেই আমরা অ্যানেসথেসিয়া দিতে পারি।
মায়ের কিন্তু ব্যথা মুক্ত হওয়া বা এর চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আর ব্যথার জন্য যে ভীতি রয়েছে, সেটি কমে গেল। আপনারা জানেন যে যেকোনো অস্ত্রোপচারের একটি ঝুঁকি থাকে, সেই ঝুঁকি থেকে আমরা রক্ষা পেতে পারি।
প্রশ্ন : এপিডোরাল অ্যানেসথেসিয়ার মাধ্যমে কী কী অসুবিধা হতে পারে?
উত্তর : প্রধান অসুবিধা হলো যেহেতু আমি এপিডোরাল অ্যানেসথেসিয়া দিচ্ছি, তাই প্রসবটা দীর্ঘ হচ্ছে কি না, সেটি দেখা। তবে গবেষণা করে দেখা গেছে সমস্যা নেই।
আর অনেক মা ধারণা করেন, কোমরে ইনজেকশন দেওয়ার কারণে তার পরে ব্যথা হতে পারে। আপনি দেখবেন, সিজারিয়ান সেকশন করার পর মা পায়ই এই অভিযোগ করে। আর অস্ত্রোপচারের জন্যও ব্যথা করে। একে পোস্ট সার্জিক্যাল পেইন বলা হয়। তবে এপিডোরাল অ্যানেসথেসিয়ায় এই সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা কম।
তাই আসুন, আমরা সবাই ব্যথামুক্ত স্বাভাবিক প্রসবকে ‘হ্যাঁ’ বলি।