বাতব্যথা কত ধরনের?

বাতব্যথা বেশ প্রচলিত সমস্যা। প্রায় ৬৫০টির ওপরে বাতব্যথা রয়েছে। বাতব্যথার বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩১৪৫তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. ফয়সাল আহমেদ। বর্তমানে তিনি বিআরবি হাসপাতালের রিউমাটোলজি বিভাগে পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : বাতব্যথা বলতে আমরা কী বুঝি?
উত্তর : আসলে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন আপনি করেছেন। বাত রোগকে ইংরেজিতে যদি বলি, তাহলে এটি হলো অটো ইমিউনো ডিজিজ। অর্থাৎ আমাদের শরীরের কোনো একটি উপাদান আমাদের শরীরকে আক্রমণ করে। আমাদের শরীরের একটি ইমিউনো সিস্টেম রয়েছে। এর কাজ হলো বাইরের ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া ভাইরাস থেকে রোগ প্রতিরোধ করা।
বংশাণুগতভাবে, অন্য কোনো ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাসের প্রভাবে, অথবা অজানা কারণে এই ইমিউনো সিস্টেমের কার্যক্রম যখন ব্যহত হয়, তখন এই ইমিউনো সিস্টেমটা আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে আক্রমণ করে। তখন এই বাত রোগের সৃষ্টি হয়। ইমিউনো সিস্টেম যখন গিরায় ধরে, গিরা ব্যথা করে, তখন বাত রোগ হয়। যখন এটি চামড়ায় ধরে, এটি চামড়ার বাত রোগ। এটি চামড়ায় লাল লাল দাগ সৃষ্টি করে, কিংবা আটশাঁট হয়ে আসে। সিস্টেমিক এসকোলোরোসিস নামে একটি বাত রোগ রয়েছে। এস এল ই নামে একটি বাত রোগ রয়েছে। এই বাতগুলো চামড়া ধরতে পারে, গিরাও ধরতে পারে। বাত রোগ আবার মাংসপেশিও আক্রমণ করতে পারে। তখন মাংসপেশি ব্যথা হতে পারে, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লাল লাল দাগ হতে পারে। একে আমরা বলি মায়োসাইটিকস। যেমন : ডার্মাটো মায়োসাইটিস বা পলি মায়োসাইটিস। বাত রোগ শিরা, ধমনিও ধরতে পারে। তখন শিরা ধমনি শুকিয়ে যায়। হাত বা পায়ের আঙুল কালো হয়ে যায়, শুকিয়ে যায়। রক্ত চলাচল কমে যায়। ভাসকুলাইটিস বলি আমরা। এই বাত রোগ হতে পারে। এ ছাড়া লিভার, কিডনি, মস্তিষ্ককে আক্রান্ত করতে পারে।
প্রশ্ন : কত ধরনের বাত রোগ রয়েছে?
উত্তর : সিবিসি বা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এর সংজ্ঞা অনুযায়ী বাত রোগের সংখ্যা ৬৫০ বা আরো বেশি।