হেডনেক ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায় যেসব বিষয়

Looks like you've blocked notifications!

মুখ গহ্বর এবং এর চারপাশের ক্যানসারকে সাধারণত হেডনেক ক্যানসার বলা হয়। তামাক গ্রহণ ও ধূমপান হেডনেক ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এ ছাড়া আরো কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো হেডনেক ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।  

এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩১৫৩তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী ও অধ্যাপক ডা. মতিউর রহমান মোল্লা।

ডা. বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অটোল্যারিঙ্গোলজি অ্যান্ড হেডনেক সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত। অধ্যাপক ডা. মতিউর রহমান মোল্লা বর্তমানে আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ওরাল ও মেক্সিলোফেসিয়াল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।

এনটিভি : হেননেক ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায় সেগুলো কী?

ডা. বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী : থাইরয়েড ক্যানসার ছাড়া ধূমপানের একটি প্রধান ভূমিকা রয়েছে। একে মূল অপরাধী হিসেবে ধরা হয়। দেখা গেছে, ধূমপানের হারকে যদি কমানো যায়, তাহলে এই সব ক্যানসারের হার কমে যাবে। এটি প্রমাণিত একটি ঝুঁকি। এ ছাড়া মুখ গহ্ববরের ক্যানসারের জন্য পান, সুপারি, জর্দা দায়ী। ফ্যারিংজাল ক্যানসারের জন্য দায়ী মদ্যপান ।

বাকি আরো কিছু কারণ রয়েছে। তবে সেগুলো একেবারে প্রতিষ্ঠিত নয়। যেমন: সাইনাস ক্যানসারে বা ন্যাজোফ্যারিংজাল ক্যানসারে, কিছু সল্টেট ফিস দায়ী। এবসটেন্ট বার ভাইরাস নামে একটি ভাইরাস রয়েছে, ন্যাজোফ্যারিংজাল ক্যানসারে সেটি দায়ী। এরপর হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস। এই সব ভাইরাস সংক্রমণগুলো রয়েছে। 

অধ্যাপক ডা. মতিউর রহমান : এখানে পুষ্টির দিকটিও রয়েছে। যদি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন বি কম থাকে, তাদের ঝুঁকির বিষয়গুলো বেশি থাকে।

ডা. বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী : আমি একটু যোগ করবো এর সঙ্গে। আসলে অপুষ্টি কিন্তু এই ক্ষেত্রে একটি সহায়ক ভূমিকা পালন করে। যদি কারো রক্তস্বল্পতা থাকে, তাহলে সে কিন্তু সহজে এই ক্যানসারে আক্রান্ত হয়। তার গলার ক্যানসার তৈরি হয়।

এ ছাড়া আরেকটি জিনিস প্রমাণিত। যেসব সমাজে সবজি বেশি খাওয়া হয়, তাদের মধ্যে কিন্তু ক্যানসার হওয়ার প্রবণতা কম, আবার ক্যানসার ফিরে আসার মাত্রা বেশি।