ঈদ ভ্রমণ নিরাপদে করতে পরামর্শ

Looks like you've blocked notifications!

পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে কার না ভালো লাগে? তাই নাড়ির টানে বাড়িতে যাই আমরা।

অনেকেই হয়তো ঈদ সামনে রেখে গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন। আবার অনেকেই রয়েছেন যাত্রাপথে বা যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাঁদের জন্য ঈদ ভ্রমণের কিছু পরামর্শ দিয়েছেন ডা. ছামিদুর রহমান। বর্তমানে তিনি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু ও সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩১৭৮তম পর্বে অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হয়।

প্রশ্ন : ঈদ ভ্রমণে নিরাপদে যেন যাত্রাটা হয়, সে ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখা উচিত?

উত্তর : আমরা আসলে যেকোনো ক্ষেত্রে, বিশেষ করে ঈদের ক্ষেত্রে পূজা-পার্বণে পরিবারের সঙ্গে এক হতে চাই। যারা শহুরে জীবনযাপন করে, তারা বিশেষ করে পরিবার নিয়ে, বাচ্চাদের নিয়ে যেতে চায়। তো বড়দের যাওয়ার তো একটি বিড়ম্বনা থাকে, তবে বাচ্চাদের বিড়ম্বনা কেবল ভ্রমণ নয়, এর সঙ্গে স্বাস্থ্যগত সমস্যাও চলে আসে। এই জন্য দূর ভ্রমণে যেতে হলে পরিবারের সবার একটি প্রস্তুতি থাকতে হয়। সে ক্ষেত্রে পরিষ্কার পানি নিয়ে ভ্রমণ করতে হবে। রাস্তার দোকানগুলোতে খেলে অনেক সময় পেট খারাপ হতে পারে। সেদিকটি খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্য বাসায় তৈরি করা খাবার, একটু নিয়ে গেলে ভালো হয়। এখন হকার এত বেশি যে কোনো গাড়িতে গেলে মুখরোচক খাবার দেওয়ার চেষ্টা করে। বাচ্চারাও সেগুলো লুফে নেয়। মায়েরাও তখন মনে করে, ঠিক আছে একটু দিই। এগুলো বেশি সমস্যা তৈরি করে। বিশেষ করে পেটের পীড়া হয়। এ ছাড়া ভ্রমণে জ্বর, আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য ঠান্ডা লাগা, কাশি-সর্দি এগুলো একটু বেশি হয়। সে জন্য প্রথম থেকে যদি একটু প্রস্তুতি নেওয়া যায় তাহলে ভালো। আমরা একটু পরিষ্কার পানি সঙ্গে রাখলাম, বাসার থেকে একটু খাবার নিয়ে গেলাম, সঙ্গে একটু প্যারাসিটামল নিতে পারি, প্রয়োজনীয় ওষুধ নিতে পারি, তাহলে কিন্তু এই জিনিসগুলোকে অনেকখানি কাটিয়ে ওঠা যায়।

প্রশ্ন : বড়দের ক্ষেত্রে একটু আলাপ করি, যাঁরা জটিল কিছু রোগে ভুগছেন, তাঁদের বিষয়ে বলুন?

উত্তর : আসল কথা হলো, আমি যদি আগে একটি রোগে ভুগি, আবার ভ্রমণে গিয়ে নতুন একটি পরিবেশে যাব, এতে সমস্যা হতে পারে। ভালো হলো একে নিরাময় করে যাওয়া। সম্ভব হলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তার নিজের সমস্যাটাকে সমাধান করে যেতে পারলে ভালো।

ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের ওষুধগুলো সঙ্গে করে নিয়ে যেতে হবে। গ্রামে কিন্তু প্রয়োজনীয় ওষুধও পাওয়া যায় না। সে জন্য আমার মনে হয়, আগে থেকে একটু প্রস্তুতি নিয়ে যেতে পারলে ভালো হয়। আর একটু খেয়াল করতে হবে যেন খাবারটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়।