দাঁত ব্যথা কমাতে করণীয়
দাঁতের ব্যথা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সাধারণত সংবেদনশীল দাঁত থেকেই ব্যথার উদ্রেক হতে পারে।
ব্যথা খুব তীব্র হলে বুঝতে হবে হয়তো বা—
- দাঁতে কোনো গর্ত বা ক্যারিজ রয়েছে।
- দাঁতের ফিলিং খুলে গেছে।
- দাঁত ভেঙে গেছে।
- দাঁতের শ্বাস বা পাল্প যেকোনো কারণেই হোক আক্রান্ত হয়েছে।
গরম কিংবা ঠান্ডা খাওয়ার পর ৩০ মিনিট পর্যন্ত দাঁতের ব্যথা স্থায়ী হলে ধারণা করা যেতে পারে, দাঁতের পাল্প বা শ্বাস আক্রান্ত হয়েছে। এ ছাড়া মাড়ির প্রদাহের কারণে মাড়ি ফুলে দাঁতের ব্যথা হয়।
দাঁতের শ্বাস আক্রান্ত হওয়ার পর স্নায়ু নষ্ট হতে ১২ ঘণ্টা সময় লাগে। এতে ১২ ঘণ্টা পর ব্যথা কমে যায়। তবে আবার ব্যথা শুরু হয় যখন নষ্ট কোষ আবার সংক্রমিত হয় কিংবা পুঁজ তৈরি করে।
দাঁতের ব্যথা অবশ্যই একটি দুঃসংবাদ। কাজেই ডেন্টিস্টের কাছে যাওয়ার আগে উপশমের জন্য কিছু ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
- লবঙ্গ তেল মাজা যেতে পারে দাঁতে। ক্লোভ অয়েল/ লবঙ্গ তেল ফার্মেসি থেকে সংগ্রহ করে নির্দেশমতো দাঁত মাজতে হবে। নতুবা মাড়িতে লেগে মাড়িতে জ্বালা করবে। মনে রাখতে হবে, লবঙ্গ তেল দাঁতের ব্যথা সারিয়ে তোলে না, এটি শুধু দাঁতের স্নায়ুকে অবশ করে দেয় এবং সাময়িক ব্যথা কমায়।
- দাঁত ব্যথায় মাড়ি ফুলে চিবুকের বাইরে থেকে বোঝা গেলে ফোলা অংশের ওপর বাইরে থেকে বরফ কুচি পাতলা কাপড়ে পেঁচিয়ে চেপে ধরে রাখা যেতে পারে।
- মুখের মধ্যে ব্যথাযুক্ত দাঁতের ওপর বরফের টুকরো রাখা যেতে পারে। এতে ব্যথা বাড়লে এ পদ্ধতি বাদ দিতে হবে।
- গরম পানি দিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। এতে দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাদ্যকণা ধুয়ে যাবে এবং সাময়িকভাবে দাঁতের ব্যথা কমতে পারে। একইভাবে ডেন্টাল ফ্লাশও দাঁতে ব্যথা কমাতে পারে।
- দাঁত ব্যথা থাকা অবস্থায় মিষ্টিজাতীয় খাবার, খুব ঠান্ডা ও খুব গরম খাবার খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। এসব খাবার ব্যথা বাড়াতে পারে।
- দাঁতের গর্ত খুঁজে পাওয়া গেলে গর্ত পরিষ্কার করে গর্তের মধ্যে নরম কাপড়, তুলো অথবা চিনিবিহীন চুইংগাম গর্তে ঢুকিয়ে রাখা যেতে পারে ডেন্টিস্টের কাছে যাওয়ার আগে।
- দাঁতের ব্যথা নিয়ে যত দ্রুত ডেন্টিস্টের কাছে যাওয়া যাবে, ততই মঙ্গল।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ।