কিডনি রোগের লক্ষণ কী?
কিডনি রোগ বর্তমানে একটি আতঙ্কের নাম। প্রস্রাব কম হওয়া, শরীর ফুলে যাওয়া, কোমরব্যথা ইত্যাদি কিডনি রোগের লক্ষণ।
কিডনি রোগের লক্ষণের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩১৯৮তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ। বর্তমানে তিনি বিআরবি হাসপাতালের কিডনি রোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : কিডনি রোগের ক্ষেত্রে রোগীরা সাধারণত কী কী লক্ষণ নিয়ে আসে?
উত্তর : আমরা প্রস্রাব লক্ষ করি। যদি দেখি কারো প্রস্রাব খুব কম হচ্ছে, সেইসঙ্গে শরীর ফুলে যাচ্ছে, আবার কারো ঘন ঘন প্রস্রাব হচ্ছে, প্রস্রাবের অল্প অল্প জ্বালাপোড়া হচ্ছে, বারবার হচ্ছে, দ্রুত বাথরুমে যেতে হচ্ছে, তলপেটে ব্যথা, কোমরে ব্যথা হচ্ছে, আবার নাভির উল্টো দিকে কোমরে ব্যথা শুরু হচ্ছে, একদম তলপেট পর্যন্ত ব্যথাটা চলে যাচ্ছে (কিডনিতে পাথর হলে যেমন হয়)—এ ধরনের লক্ষণ দেখলে আমরা দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাব। এগুলো সাধারণত কিডনি রোগের লক্ষণ।
আবার যে কথাটা সবাই জানতে চায়, সেটি হলো কিডনি যদি নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে কী ধরনের লক্ষণ হবে। আসলে ৭০ থেকে ৮০ ভাগ কিডনি নষ্ট হওয়ার আগে সাধারণত কোনো লক্ষণই প্রকাশ পায় না। তাই একে নীরব ঘাতক বলা হয়। এর মানে এই কারণে এর ভয়াবহতা এত বেশি। দেখা যায়, বোঝার আগেই তার অনেক দূর পর্যন্ত কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। এরপর যেই লক্ষণ দেখা যায়, এর মধ্যে হলো চোখ, মুখ ফুলে যাওয়া। এরপর খাওয়ার রুচি কমে আসে। বমি বমি ভাব থাকে। তীব্র বমি শুরু হয়ে যায়। কারো দেখা যায় কাজকর্মে মন বসে না। দেখা যায়, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে। কারো ঘুম থেকে উঠে বারবার প্রস্রাব হয়। কারো দেখা যায় বিনা কারণেই গা চুলকাচ্ছে।
কিডনি বিকলের বিষয়টি আরো যখন বেড়ে যায়, তখন সারা শরীর ফুলে যায়। রক্তচাপ আরো বাড়ে। শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে যায় রক্তশূন্যতার জন্য।