বন্ধ্যত্বের কারণ কী?

Looks like you've blocked notifications!
মানসিক চাপ বন্ধ্যত্বের একটি বড় কারণ। ছবি : সংগৃহীত

সন্তান না হওয়াকেই স্বাভাবিকভাবে বন্ধ্যত্ব বলে চিহ্নিত করা হয়। বন্ধ্যত্বের সমস্যা আগেও ছিল, এখনো রয়েছে। তবে বর্তমান সময়ের চাপযুক্ত জীবন, পরিবেশদূষণ ইত্যাদি বন্ধ্যত্বের সমস্যা বাড়িয়ে তুলছে বহুগুণে।  

বন্ধ্যত্বের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২০২তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. ফারজানা রহমান ডালিয়া। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ও অবস বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : সন্তান না হওয়ার জন্য দায়ী কে, সেটি জানার উপায় কী?

উত্তর : আসলে একটা ধারণা ছিল আগে, এখনো রয়েছে, যদি সন্তান না হয় তাহলে মাকেই অনেক ক্ষেত্রে দায়ী করা হয়। মায়ের কারণেই সন্তান হচ্ছে না, এমনটা শোনা যেত। তবে দেখা যায়, ৪০ ভাগ যদি নারীর কারণে না হয়ে থাকে, ঠিক ৪০ ভাগ পুরুষের কারণেও না হতে পারে। অর্থাৎ নারী ও পুরুষ সমানভাবে দুজনের কারণেই সন্তান না হতে পারে। আবার ১০ ভাগ হতে পারে, যেখানে নারী-পুরুষ উভয়েরই হয়তো কিছু ত্রুটি আছে।

এরপর যদি আমরা ভাগ করে নিতে চাই পুরুষদের ক্ষেত্রে। এ ক্ষেত্রে সিমেনের মধ্যে স্পার্মে যদি কোনো ত্রুটি থাকে, তার আকৃতিগত ত্রুটি বা তার সংখ্যা যদি কম থাকে, তাহলে বাচ্চা হতে সমস্যা হয়।

আর নারীদের ক্ষেত্রে প্রধান কারণ হিসেবে দেখা যায়, সঠিক সময়ে ডিম না ফোটা। এরপর যদি টিউবে কোনো সমস্যা হয়ে থাকে, যাকে আমরা টিউবনালি বলে থাকি, এখানে সমস্যা হলে এমন হতে পারে।

আবার জন্মগত ত্রুটি থাকতে পারে জরায়ুতে। সেই ক্ষেত্রে এমন হতে পারে। জরায়ুমুখটা ছোট হতে পারে। এই ধরনের কারণগুলো থাকতে পারে।

আজকাল দেখা যায়, বেশি বয়সও একটি বিষয়। বেশি বয়সে সন্তান নিতে চাচ্ছেন, তখনো সমস্যা হতে পারে। আর দেরিতে বিয়ে করাটাও আজকাল অনেকগুলো কারণের একটার মধ্যে পড়ছে। পরিবেশগত দূষণ, আবার একটি চাপযুক্ত জীবন—এগুলো ভাবনার বিষয়। চাকরির পেছনে, ক্যারিয়ারের পেছনে ঘুরছে, একটি চাপ কাজ করছে সারাক্ষণ। এগুলোও মাথায় রাখতে হয়।

বাচ্চা ধারণ করার জন্য মানসিক প্রশান্তি কিন্তু বড় একটি কারণ। মানসিক প্রশান্তি না থাকলে, যদি একটি চাপযুক্ত জীবনে থাকি, তাহলে অনেক দেরি করে বাচ্চা হয় বা হয় না।