কিডনি রোগ প্রতিরোধে করণীয়

Looks like you've blocked notifications!
কিডনি রোগ প্রতিরোধের বিষয়ে আলোচনা করছেন অধ্যাপক ডা.এম এ সামাদ এবং ডা.সাখাওয়াৎ হোসেন।

নিয়মিত ব্যায়াম করা, সঠিক খাদ্য গ্রহণ, অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার না খাওয়া ইত্যাদি কিডনিকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। কিডনির রোগ প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২১২তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা.এম এ সামাদ।

ডা.এম এ সামাদ বর্তমানে বিআরবি হাসপাতালের কিডনি রোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : কিডনি রোগ প্রতিরোধের জন্য স্ক্রিনিং বা সতর্কতার সুযোগ রয়েছে কি?

উত্তর : যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ব হার্ট দিবস পালিত হয়েছে, কিডনি দিবস পালিত হয়েছে মার্চ মাসে। তো এই যে দিবসগুলো থাকে, এগুলোর কিন্তু উদ্দেশ্য থাকে। বিশ্ব কিডনি দিবস, হার্ট দিবস, এই দিবসগুলোর উদ্দেশ্য থাকে মানুষকে কিছু বিষয়ে সচেতন করা। এসব বিষয় যদি মানুষ নিয়মিত পালন করে, পরিচর্যা করে, তাহলে কিন্তু যে খারাপ রোগগুলো রয়েছে, সেগুলো প্রতিরোধ করা যায়।

হার্ট ডিজিজের কারণে কিডনি রোগ প্রতিরোধ করার জন্য আমরা কিছু বিষয়ে সচেতন হতে পারি। উচ্চ রক্তচাপ থাকলে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এভাবে রাখতে হবে সেটা যেন ১২০/ ৮০ এর মধ্যে থাকে। তেমনি যদি ডায়াবেটিস থাকে, সেটাকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

এওয়ানসি ছয় দশমিক পাঁচ থেকে সাত পর্যন্ত থাকে। ঠিক আমরা জীবন যাপনের ধরন বলতে যেটি বোঝাই,সেটি হলো প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করা। বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে, ব্যায়াম করলে ১৩ বছর পর্যন্ত আয়ু বাড়ে। নিয়মিত ব্যায়াম করা, নিয়মিত খাবার খাওয়া, খাবারের ক্ষতিকর যেসব বিষয় থাকে, সেগুলোকে এড়িয়ে যাওয়া এবং পরিমিত খাবার খাওয়া এগুলো করতে হবে। জীবন যাপনের ধরনকে যদি আমরা মেনে চলি তাহলে ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত একটি সুস্থ জীবন যাপন করতে পারি।

কেউ যদি অন্তত ৩০ মিনিট করে সপ্তাহে পাঁচ দিনও হাঁটে, তাহলে হৃদরোগ বলেন, কিডনি রোগ বলেন আমরা অনেক প্রতিরোধ করতে পারি। পাশাপাশি ধূমপান কমালে টাকা বাঁচাতে পারি,আর ক্যানসারসহ অনেক রোগ প্রতিরোধ করতে পারি।

আমরা সবাই জানি ধূমপান ক্যানসার করে, তারপরও আমরা জানি যে ৪৭ ভাগ লোক ধূমপান করে। আমাদের খাবারের মধ্যে এমন উপাদান থাকতে হবে যেগুলো শরীরের উপকার করে। যেমন শাক সবজি, ফল প্রতিদিনই যেন থাকে। পরিমাণটা এমন হবে, আমাদের ওজন যেন বেড়ে না যায়। কখনো ওজন যদি বাড়ে তাহলে ডায়েট করে, ব্যায়াম করে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।  আমাদের মেজাজকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।

আমরা যদি সবসময় রেগে যাই, মেজাজকে নিয়ন্ত্রণে না রাখি, পাল্লা দিয়ে চলি, বেশি তাড়াতাড়ি যদি ধনী হতে চাই, সমাজে যদি অনেক প্রতিষ্ঠিত হতে চাই, চাপ নিই, তাহলে কিডনির ক্ষতি হচ্ছে, হার্টের ক্ষতি হচ্ছে। স্ট্রোক বাড়িয়ে দিচ্ছে। আমরা পরস্পরের জন্য যদি মঙ্গল কামনা করি, সবাই মিলে ভালো থাকার চেষ্টা করি, তাহলে দেখব সুস্থ থাকব।