এসএলই মেয়েদের কেন বেশি হয়?

আমাদের শরীরে একটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে। যদি কোনো কারণ ছাড়া এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আমাদের শরীরকেই আক্রমণ করতে থাকে, তাহলে একটা অটো ইমিউনো ডিজিজ তৈরি হয়। এটি আমাদের নিউক্লিয়াসে একটি অ্যান্টিবডি তৈরি করলে একে এসএলই বলে। এসএলই মেয়েদের বেশি হয়। এর কারণ কী?
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২১৪তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. ফয়সাল আহমেদ। বর্তমানে তিনি বিআরবি হাসপাতালের রিউমাটোলজি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : মেয়েদের বেশি হচ্ছে, প্রজনন বয়সে, এর কারণ কী?
উত্তর : আসলে সব অটো ইমিউনো রোগ নারীদের বেশি হয়, এর সঙ্গে অবশ্যই একটি হরমোনাল সম্পর্ক রয়েছে। যেমন ছেলেদের যেই টেসটোসটেরন হরমোন, এটি কিন্তু একটু সুরক্ষা দেয়। সব বাত রোগের জন্য এটি একটু সুরক্ষা দেয়।
নারীদের ইসট্রোজেন হরমোনের মাত্রার কমবেশির জন্য এই অটো ইমিউনো রোগগুলো বেশি হয়। সবকিছুর কারণ আমরা এখনো পুরোপুরিভাবে জানি না। তবে এতটুকু আমরা জানি যে মেয়েদের এই হরমোনাল ভারসাম্যহীনতার জন্য এই রোগটা হতে পারে।
প্রশ্ন : এ সময় এই রোগীর ক্ষেত্রে সন্তান ধারণ করতে পারবেন কি না বা কোনো জটিলতা হয় কি না?
উত্তর : খুবই ভালো একটি প্রশ্ন করেছেন। আসলে যখন এই রোগটি হয়, রোগটি ধরার পর আমরা কিছু ওষুধ দিই। যখন এই রোগটি ছয় মাস নিয়ন্ত্রণে থাকে, এর পর আমরা বলি আপনি সন্তান নিতে পারবেন। তখন আমরা প্রেগন্যান্সি ফ্রেন্ডলি মেডিকেশনগুলো শুরু করি। কারণ আমাদের বাত রোগের সব ওষুধ প্রেগন্যান্সি ফ্রেন্ডলি নয়। ছয় মাস রোগটা নিয়ন্ত্রণের পর বাচ্চা নেওয়া যায়, তখন পরবর্তী সময়ে খারাপ কিছু হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। এসএলই যদি অ্যাকটিভ থাকে, কোনো একজন নারী যদি অ্যাকটিভ হয়, প্রেগন্যান্সি কন্টিনিউ করে, তাহলে তার কিছু সমস্যা হতে পারে। বেড়ে গেলে এই অঙ্গগুলো জড়িত হতে পারে। বাচ্চার ক্ষেত্রেও কিছু সমস্যা হয়। বাচ্চার বৃদ্ধি কমে যেতে পারে। বাচ্চা ইউট্রাসের মধ্যে মারা যেতে পারে। এ ছাড়া আরো কিছু জটিলতা হতে পারে। সুতরাং আমরা বলি আপনার ছয় মাস রোগটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, আপনি বাচ্চা নিতে পারবেন।