ডেঙ্গু জ্বর কী?

Looks like you've blocked notifications!
ডেঙ্গু নিয়ে কথা বলছেন ডা. দেলোয়ার হোসেন।

ডেঙ্গু খুব প্রচলিত জ্বর। এই জ্বরের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২১৬তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. দেলোয়ার হোসেন। বর্তমানে তিনি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : ডেঙ্গু জ্বর কী?

উত্তর : ডেঙ্গু জ্বর আসলে একটি ভাইরাস জ্বর। এটি মশা দিয়ে বাহিত হয়। এই মশাটার নাম হলো ইজিপ্টি। আরো একটি ধরন রয়েছে। সেটি হলো ইজিপ্টি অ্যালবোপিকটার। এটি দিয়ে কম বাহিত হয়। এই মশাটা কোথায় বাস করে? এই মশাটা বেশ অভিজাতপূর্ণ। এই অর্থে যে এটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জায়গায় বসবাস করে। ফুলের টবে, স্বচ্ছ পানিতে, ফ্রিজের পানি অথবা এসির পানি—এসব পানিতে বসবাস করে। আশপাশে যদি পরিত্যক্ত টায়ার থাকে অথবা ঠান্ডা বা টিনের ক্যান বা পরিষ্কার পানি থাকে, সেখানে বংশ বৃদ্ধি করে। এই মশাটা, বিশেষ করে সূর্যোদয়ের পরে এবং সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত কামরায়, অর্থাৎ দিনের বেলায় সে কামড়ায়। মায়েরা যখন শিশুদের বিছানায় রেখে কাজ করতে যান, যদি অসতর্ক অবস্থায় রেখে যান, তাহলে এই মশাটা তাকে কামড় দিতে পারে।

কী কারণে ডেঙ্গু জ্বর হয়? এটি একটি ভাইরাসজনিত জ্বর। এই ভাইরাসের নাম ফ্ল্যাবি ভাইরাস, এই ভাইরাসটি যখন মশার মাধ্যমে একটি সুস্থ মানুষকে কামড়ায়, তখনই কিন্তু ভাইরাসটা সুস্থ মানুষের শরীরে ঢোকে। তখন তার উপসর্গগুলো দেখা দেয়। মশা কামড় দেওয়ার পর থেকে উপসর্গ দেখার সময়টাকে বলা হয় ইনকিউবিশন পরিয়ড। কামড় দেওয়ার পর জ্বর হলো, জ্বরটা তীব্র আকারে হয়। টাইফয়েডে যেমন আস্তে আস্তে জ্বর বাড়তে থাকে, ম্যালেরিয়ায় কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। তবে আস্তে আস্তে শুরু হয়। তবে এই জ্বরটা প্রথম থেকে তীব্র আকারে দেখা দেয়। ১০৪ থেকে ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হতে পারে। এই সঙ্গে চোখের পেছনে ব্যথা, মাথাব্যথা হতে পারে, শরীরে বিভিন্ন গাঁটে গাঁটে ব্যথা হতে পারে। হাড়ের মধ্যে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। মনে হয় হাড়গুলো ভেঙে যাচ্ছে।

এই জ্বর কী কী ধরনের হতে পারে। এটি নিয়মিত জ্বর হতে পারে, অথবা চার অথবা পাঁচ দিনে একটি ইন্টারভেল থাকে, যে এই সময় জ্বর থাকে না। এই জন্য একে শেডেল ব্যাকপেইন বলা হয়। এই জ্বরের সঙ্গে সারা শরীরে বা শরীরের কিছু কিছু অংশে লাল লাল ফুসকুড়ি ওঠে। একে আমরা র‍্যাশ বলি। র‍্যাশ বলি আসলে ছোট আকারে।