তরুণদের ইন্টারনেট আসক্তি রোধে অভিভাবকদের করণীয়

Looks like you've blocked notifications!
তরুণদের ফেসবুকে আসক্তি রোধে অভিভাবকদের করণীয় বিষয়ে আলোচনা করছেন ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আজিজুল ইসলাম ও ডা. সাখাওয়াৎ হোসেন। ছবি : এনটিভি

বর্তমান যুগ ইন্টারনেট, ফেসবুক, ইউটিউবের। এসবের উপকারিতা ও অপকারিতা- দুটোই রয়েছে। অনেকে এসবের প্রতি এতটাই আসক্ত হয়ে পড়ছে যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাদের স্বাভাবিক জীবন, মেধা, মনন।

এই আসক্তি রোধে অভিভাবকদের করণীয় বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২২১তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আজিজুল ইসলাম। বর্তমানে তিনি আমর্ড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজে মনোরোগ বিদ্যা বিভাগে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : তরুণদের এসব আসক্তি থেকে দূরে রাখতে পরিবারের সদস্য, অভিভাক বা শিক্ষকদের কী কিছু করণীয় রয়েছে?

উত্তর : আমার তো মনে হয়, সবটুকুই তাদের করণীয়। শুধু তাদের করণীয় নয়, সবটাই তারাই করবে। আপনার সন্তানকে আপনার রোল মডেল হিসেবে তৈরি করেন। আপনার সন্তানকে আপনি দিক নির্দেশনা দিন। আপনার সন্তানকে আপনি সময় দেন। আপনার সন্তানকে আপনি বোঝান। আমার তো মনে হয় না, এমন কোনো সন্তান নেই, যাকে আমি যদি আগলে রাখি ভালোবেসে, ভালোবেসে তাকে বোঝাই, তাহলে সে বুঝবে না।

স্কুলের শিক্ষকরা শিশুটির অবস্থা খুব ভালো করে জানবে। স্কুলের শিক্ষক, ভাইবোন, এমনকি সহপাঠীরাও একটি প্রচণ্ড সুন্দর ভূমিকা রাখতে পারে, একজন তরুণকে বাঁচানোর জন্য।

প্রশ্ন : এখন তো তরুণ থেকে শুরু করে প্রবীণ লোকরা পর্যন্ত ফেসবুক ব্যবহার করে। ফেসবুক ব্যবহারের ক্ষেত্রে তরুণদের বাইরে অন্যদের ভূমিকাটা কেমন হওয়া উচিত, যেটা তরুণদের ঠিক পথে আসতে সাহায্য করবে?

উত্তর : ফেসবুক ব্যবহার করুক বা যেকোনো সামাজিক মিডিয়া ব্যবহার করুক, আমার মনে হয়, এটি গঠনমূলকভাবে ব্যবহার করতে হবে। ভালো দিকটিই আমাদের নিতে হবে। সমাজ গঠনের দিকটা নিতে হবে। সুন্দর কথা বলতে হবে। কারণ, এসব মাধ্যম দিয়ে মানুষ যথেষ্ট প্রভাবিত হয়। এই প্রভাবটা যেন সঠিকভাবে, শক্ত, সুন্দরভাবে হয়-এর দিকে নজর দিতে হবে, সেটি যেই বয়সেই হোক। সেটা প্রবীণরা ব্যবহার করুক, আর তরুণরা ব্যবহার করুক।