বাইপোলার মুড ডিজঅর্ডারের রোগীদের আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ে

Looks like you've blocked notifications!
বাইপোলার মুড ডিজঅর্ডারের বিষয়ে কথা বলছেন ডা. চিরঞ্জীব বিশ্বাস। ছবি : এনটিভি

জটিল ধরনের মানসিক রোগ বাইপোলার মুড ডিজঅর্ডার। এই রোগে কখনো কখনো মন খুব বেশি মাত্রায় ভালো থাকে, আবার কখনো কখনো রোগীর বিষণ্ণবোধ হয়। এই রোগীদের আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি থাকে।

বাইপোলার মুড ডিজঅর্ডারের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২৪২তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. চিরঞ্জীব বিশ্বাস। বর্তমানে তিনি বিআরবি হাসপাতালের মনোরোগ বিদ্যা বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : এই রোগ থেকে গুরুতর কোন জটিলতা হতে পারে?

উত্তর : বাইপোলার মুড ডিজঅর্ডারের উপসর্গগুলো খুব কম দিনের থাকে। মন ভালোর উপসর্গগুলো হয়তো চারদিনের বেশি থাকে। এটি হয়তো এক মাস থাকল। নিজে নিজেই সেটি ভালো হয়ে যেতে থাকে। তবে সমস্যা যেটি হয়, তাদের মধ্যে মাদক নেওয়ার প্রবণতা যেমন থাকে, তেমনি আত্ম হত্যার প্রবণতাও খুব বেশি থাকে। যেহেতু এটি তাদের একটি জেনেটিক ডিজঅর্ডার, বংশগত একটি রোগ, তাই বিনা কারণেই তার মন ভালো বা মন খারাপের প্রবণতা থাকে।

প্রশ্ন : কারা বাইপোলার মুড ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত হয়?

উত্তর : আসলে পারিপার্শ্বিক পরিবেশটা এখানে খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। দেখতে হবে মা-বাবার মধ্যে এই ধরনের রোগের প্রবণতা রয়েছে কি না। এ ছাড়া দেখা যায় চাচা, মামা বা আত্মীয়স্বজনের মধ্যে এই ধরনের রোগগুলো থাকে। এই জিনগত কারণেই রোগগুলো চলে আসে। এখানে প্রতিরোধমূলক কোনো ব্যবস্থা আসলে নেই।

দেখা যায়, মানসিকচাপযুক্ত জীবন যারা যাপন করে তাদের ক্ষেত্রে বাইপোলার মুড ডিজঅর্ডার আসার আশঙ্কা রয়েছে। আবার ঋতুর সঙ্গেও বিষয়টি নির্ভর করে। সাধারণত গরমকালে মন ভালো থাকা বা ম্যানিক অবস্থা হওয়ার আশঙ্কা থাকে, আবার শীতকালে বিষণ্ণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।