শিশুদের যক্ষ্মার লক্ষণ কী?
সাধারণত আমরা বড়দের যক্ষ্মার কথা শুনে থাকি। তবে জানেন কি, শিশুদেরও যক্ষ্মা হয়?
শিশুদের যক্ষ্মার বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২৪৩তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. এ কে এম তাইফুর রহমান। বর্তমানে তিনি হেলথ ম্যানেজমেন্ট বিডি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : শিশুদের যক্ষ্মা নিয়ে আলাদাভাবে কথা বলার গুরুত্ব কী?
উত্তর : যক্ষ্মা নিয়ে আমরা সবাই আলোচনা করি। শিশু যক্ষ্মা নিয়ে আলোচনা করা এই জন্য প্রয়োজন যে বাংলাদেশে সম্পূর্ণ যক্ষ্মা রোগীর ১০ ভাগই শিশু যক্ষ্মা। আমরা বিভিন্নভাবে, সরকারি-বেসরকারিভাবে রোগ নির্ণয় করতে পারছি। আমরা রোগ নির্ণয় করতে পারছি মাত্র চার থেকে পাঁচ ভাগ যক্ষ্মা রোগীর।
প্রশ্ন : এটি কেন হচ্ছে?
উত্তর : আমি মনে করি অসচেতনতা। এই অসচেতনতা আমাদের অভিভাবকদের। সামাজিকভাবে আমরা অনেকে জানি না যে শিশু যক্ষ্মা হতে পারে। এ কারণেই শিশু যক্ষ্মা এখনো ওইভাবে জানি না।
প্রশ্ন : একটু তাহলে জানতে চাইব, শিশু যক্ষ্মা বলতে কী বোঝানো হয়? বড়দের যক্ষ্মা আর শিশুদের যক্ষ্মা, দুটো কি এক, নাকি আলাদা?
উত্তর : বড়দের যক্ষ্মা বা সাধারণত সব যক্ষ্মার লক্ষণ হলো একনাগাড়ে দুই সপ্তাহের বেশি কাশি। সন্ধ্যার পর জ্বর আসা, ওজন কমে যাওয়া, কখনো কখনো বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট—এগুলো হলো যক্ষ্মার লক্ষণ। শিশুদের যক্ষ্মার লক্ষণ এর সঙ্গে অনেকটাই মিলে যায়। শিশুদের ক্ষেত্রেও দুই সপ্তাহের বেশি কাশি, ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি জ্বর থাকা দুই সপ্তাহ, সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিকে সে জ্বর ভালো না হওয়া, ক্ষুধামান্দ্য বা ক্ষুধা কমে যাওয়া, শিশুর খেলাধুলায় আগ্রহ কমে যাওয়া, শিশুর পছন্দের কাজে আগ্রহ কমে যাওয়া, লক্ষণীয় ওজন কমে যাওয়া—এগুলো যদি হয়, আমরা শিশু যক্ষ্মা হিসেবে মনে করতে পারি।