মূত্রতন্ত্রের পাথর নির্ণয়ে যেসব পরীক্ষা করা হয়
মূত্রতন্ত্রের পাথর নির্ণয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা রয়েছে। মূত্রতন্ত্রের পাথর নির্ণয়ের পরীক্ষার বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২৩২তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. আজফার উদ্দীন শেখ।
ডা. আজফার উদ্দীন শেখ বর্তমানে বিআরবি হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : মূত্রতন্ত্রের পাথর নির্ণয়ে কী কী পরীক্ষা আপনারা দিয়ে থাকেন?
উত্তর : প্রথমত, আমরা প্রস্রাবের রুটিন পরীক্ষা দিই। এই রুটিন পরীক্ষা বা আরই যেটা, এর মধ্যে যদি লোহিত কণিকা থাকে, তাহলে আমরা ধারণা করতে পারি কোথাও পাথর রয়েছে। আরেকটি হতে পারে ইউরিনে ক্রিস্টাল পাওয়া যেতে পারে। ক্যালসিয়াম পাথর হয়ে, ক্যালসিয়াম অক্সালেট ক্রিস্টাল থাকে। মাইক্রোস্কোপের নিচে যখন ইউরিন পরীক্ষা করা হয়, ওই ক্রিস্টাল পাওয়া যায়। সেটি থেকে আমরা ধারণা করতে পারি, তার পাথর থাকতে পারে। অনেক সময় ইউরিনে পাস সেল থাকে। যখন বাধা হয়ে সংক্রমণ হয়, তখন পাস সেল পাওয়া যায় প্রস্রাবে। প্রস্রাবে পরীক্ষা ছাড়াও আলট্রাসনোগ্রাম সব জায়গায় করা হয়, আলট্রাসনোগ্রাম করলে কিডনির পাথর বোঝা যায়, প্রস্রাবের থলি বা মূত্রথলির পাথর বোঝা যায়, প্রস্রাবের নালির পাথর অনেক সময় বোঝা যায় না। আর আমরা করতে পারি এক্স-রে। পেটের একটি এক্স-রে করলে ভালো। আমরা জানি যে ৯০ ভাগ ইউরিনারি পাথর এগুলো এক্স-রেতে দেখা যায়। তাই যদি পাথর বড় হয়, এক্স-রে করলে বোঝা যায় যে পাথর কোথায় রয়েছে। কিন্তু খুব ছোট যদি পাথর হয়, যেমন মিলিমিটার পরিমাপের পাথর, সেগুলো এক্স-রেতে ধরা পড়ে না। সেগুলোর জন্য আমাদের সিটি স্ক্যান অ্যাবডোমিন করতে হয়। সিটি স্ক্যান করলে এক মিলিমিটারের মতো পাথর ধরা যায়।