রোগব্যাধি
শুচিবায়ুগ্রস্ততা কী?

শুচিবায়ুগ্রস্ততা একটি জটিল মানসিক ব্যাধি। এর বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২৪৬তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. দেওয়ান আবদুর রহীম। বর্তমানে তিনি বিআরবি হাসপাতালের মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : ওসিডি কী?
উত্তর : আসলে এই রোগটা আমাদের দেশে শুচিবায়ু নামে পরিচিত। এ ছাড়া চিন্তাবাতিক বা কর্মবাতিক। এদের ক্ষেত্রে দেখা যায় বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, হাত ধুতে বেশি পানি ব্যবহার করা ইত্যাদি অভ্যাস থাকে। এই বাতিককে বাংলাতে শুচিবায়ু বলা হয়। ভালোভাবে বললে চিন্তার বাতিকতা বা কর্মের বাতিকতা। এটি খুব কষ্টের বিষয়। এখানে এত সমস্যা হয় যে রোগী নিজে বুঝতে পারে না যে তার সমস্যা। তার পরিবারের যে সদস্য থাকা তারা এগুলো বোঝে না, তারা খুব বিব্রতবোধ করে। দিনের পর দিন তাদের কাজের ক্ষতি হচ্ছে। দেখা গেল বাথরুমে ঢুকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটাচ্ছে। এদের ভালো চিকিৎসা করলে উপকার হয়। এই রোগের কোনো কারণ সেভাবে বলা যায় না।
প্রশ্ন : এটি ছাড়াও চিন্তা বাতিক বা কর্ম বাতিক- এগুলোর বিষয়ে একটু জানতে চাই।
উত্তর : এ রকমও আমি দেখেছি, ছাদে ওঠতে পারে না, তার মনে হয়, আমি ছাদ থেকে লাফ দেই। আমি একটি কেস স্টাডি করেছি, মা বলতেন, তার মেয়েটি খুব ধীর গতির। সে তার কলেজে প্রথম ক্লাস ধরতেই পারত না। চিকিৎসা করার পর প্রথম ক্লাস ধরতে পারে। সব ক্ষেত্রে পেছনে পড়ে থাকে।
প্রশ্ন : এই রোগের দুটো অংশ রয়েছে। অবসেশন ও কমপালশন। এই বিষয়টি একটু বুঝিয়ে বলবেন?
উত্তর : কমপালশন হলো তাকে বাধ্য করে কাজ করার জন্য। অবসেশন হলো চিন্তা। আমি কি দরজা লাগিয়েছে- এই চিন্তাটা বারবার আসতে থাকে। সে হয়তো দরজা লাগিয়েই এসেছে। তবে সে চিন্তা করছে যে দরজা লাগায়নি।
আর কমপালশন হলো তাকে বাধ্য করে সেখানে গিয়ে আবার পরীক্ষা করার জন্য। রোগীর জন্য বিষয়টি খুবই কষ্টদায়ক।