মেরুদণ্ড বাঁকা রোগ কাদের বেশি হয়?
অনেক সময় জিনগত কারণে মেরুদণ্ড বাঁকা হয়। আবার অনেক সময় হাড় ক্ষয় থেকে মেরুদণ্ড বাঁকা হতে পারে। সাধারণত তিন শ্রেণির মানুষ মেরুদণ্ড বাঁকা রোগে বেশি ভোগে। এরা হলো, শিশু, কিশোর- কিশোরী ও প্রবীণ।
মেরুদণ্ড বাঁকা রোগের বিভিন্ন বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২৫২তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. রাইসুল তাসনীম। বর্তমানে তিনি বিআরবি হাসপাতালে অর্থোপেডিক বিভাগে পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : এটি কাদের হয়?
উত্তর : এটা মূলত তিনটি দলে হয়। একটি একদম জন্মগতভাবে। যে বাচ্চাটা জন্মেছে মাত্র তারও মেরুদণ্ড বাঁকা থাকতে পারে। আরেকটা, আরেকটু পরে কিশোর কিশোরীদের হয়। আর একটি দল, যারা প্রবীণ তাদের হতে পারে।
যাদের জন্মগতভাবে হয়, তাদের ক্ষেত্রে সাধারণত অন্য কোনো একটি রোগ সঙ্গে থাকে। হাত-পা বাঁকা থাকতে পারে। তার স্নায়ু পদ্ধতিতে সমস্যা থাকতে পারে। আর যারা কিশোর-কিশোরী, ৭০ ভাগ রোগই এই দলের মধ্যে পড়ে। এদের সাধারণত কোনো কারণ ছাড়াই হয়। কারণটা ভাবা হয় যে জন্মের সময় হয়তো মেরুদণ্ডের কোনো একটি অংশে কোনো সমস্যা হয়েছে। পরে যখন বাড়ছে, একটি অংশ বাড়ছে, আরেকটি বাড়ছে না। এই জন্য মেরুদণ্ডটা বেঁকে যাচ্ছে। জন্মগত কোনো আঘাতজনিত সমস্যা বা জিনগত সমস্যা আমরা মনে করি।
আর প্রাপ্ত বয়স্ক, প্রবীণদের ক্ষেত্রে সাধারণত ক্ষয় থেকে হয়। এক পাশে ক্ষয়টা বেশি হচ্ছে, অপর পাশে ওজন বেশি হচ্ছে। মেরুদণ্ডটা আস্তে আস্তে বাঁকা হচ্ছে। এগুলোই সাধারণত কারণ থাকে।