আত্মহত্যার প্রবণতা কমাতে বিষণ্ণতার চিকিৎসা

বিষণ্ণ রোগীদের ক্ষেত্রে সাধারণত ১০ থেকে ১৫ ভাগ রোগী আত্মহত্যা করে। তাই বিষণ্ণতার চিকিৎসা প্রয়োজন। বিষণ্ণতার চিকিৎসা করলে আত্মহত্যার প্রবণতা অনেকাংশ কমানো যায় বলে মতামত দেন বিশেষজ্ঞরা।
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২৫৫তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. দেওয়ান আবদুর রহীম। বর্তমানে তিনি বিআরবি হাসপাতালের মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : বিষণ্ণতার রোগীদের কী চিকিৎসা করা যায়? কারণ, আমরা যদি বিষণ্ণতার চিকিৎসা করি, তাহলে আত্মহত্যা অনেকাংশে কমানো যাবে।
উত্তর : বিষণ্ণতার যদি চিকিৎসা করা যায়, তাহলে সে বিষণ্ণতা কেটে গেলে তো আর আত্মহত্যা করবে না। আর যেসব রোগের কারণে ব্যক্তি আত্মহত্যা করে, এসব রোগের যদি সঠিক চিকিৎসা করা হয়, তাহলে আর আত্মহত্যা করবে না। চিকিৎসা কিন্তু প্রতিটি মেডিকেল কলেজেই রয়েছে। সুতরাং এর চিকিৎসা নেওয়া দরকার। তবে আমাদের একটি সামাজিক স্টিগমা রয়েছে, কাউকে যদি পরামর্শ দেওয়া হয় যে আপনি মানসিক চিকিৎসকের কাছে যান, তাহলে সে বলে, ‘আমি কি পাগলের ডাক্তারের কাছে যাব?’ এই যে সামাজিক স্টিগমা, এটি থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।
প্রশ্ন : আমরা তো এমনও দেখি যে বাইরে হয়তো একটি মানুষ সব কাজ ঠিকঠাকমতো করছে। তবে ভেতরে ভেতরে সে বিষণ্ণ। চট করে হয়তো সে আত্মহত্যা করে বসল। এ বিষয়ে আপনার পরামর্শ কী?
উত্তর : এটি হলো মাইল্ড ফর্মের বা হালকা ধরনের। এই বিষণ্ণতা থাকতে পারে। বিষণ্ণতা তো আসতে পারে, একটি অভিজ্ঞতা হিসেবে। মোবাইলটা হারিয়ে গেল, আমি বিষণ্ণ। আপনজন কেউ মারা গেল, আমি বিষণ্ণ। এটা কিন্তু রোগ নয়। আরেকটি হলো অন্য রোগের লক্ষণ হিসেবে হতে পারে। হরমোনের কিছু সমস্যার জন্য বিষণ্ণতা হয়। আরেকটি হলো বিষণ্ণতা নিজেই একটি কঠিন রোগ।