৫০ পেরুলে প্রোস্টেট ক্যানসারের পরীক্ষা করুন

Looks like you've blocked notifications!
প্রোস্টেট ক্যানসারের বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. আজফার উদ্দীন শেখ। ছবি : এনটিভি

প্রোস্টেট ক্যানসার নির্ণয়ে ৫০ বছরের পর থেকে পরীক্ষা করা প্রয়োজন। আর যাদের পরিবারে এই রোগ রয়েছে, তাদের ৪০ বছর থেকেই প্রোস্টেট ক্যানসার নির্ণয়ে পরীক্ষা করা জরুরি।

এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২৫৪তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. আজফার উদ্দীন শেখ। বর্তমানে তিনি বিআরবি হাসপাতালে ইউরোলজি বিভাগে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : প্রোস্টেট ক্যানসার নির্ণয়ে স্ক্রিনিং কখন করতে হয়?

উত্তর : প্রোস্টেট ক্যানসার নির্ণয়ের শুরুতে সাধারণত রোগীর একটি ইতিহাস নেওয়া হয়। পারিবারিক ইতিহাস, এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। দেখা গেছে, যাদের বাবা ও ভাইয়ের প্রোস্টেট ক্যানসার রয়েছে, তাদের সাধারণ মানুষ থেকে দ্বিগুণ আশঙ্কা প্রোস্টেট ক্যানসার হওয়ার। দ্বিতীয়ত, কিছু স্ক্রিনিং পরীক্ষা রয়েছে, আমরা মলদ্বার দিয়ে প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডকে অনুভব করার চেষ্টা করি। অনেক সময় যদি গ্রন্থি শক্ত হয় বা অনিয়মিত থাকে, তখন আমরা ধারণা করি যে ক্যানসার থাকতে পারে। রক্তের একটি পরীক্ষা রয়েছে। একে বলা হয়, প্রোস্টেট স্পেসিফিক অ্যান্টিজেন। এগুলো আমাদের প্রোস্টেট ক্যানসারের পরীক্ষা পদ্ধতি মূলত।

প্রশ্ন : স্ক্রিনিংটা আসলে কাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? সবাইকে কি স্ক্রিনিং করতে হবে?

উত্তর : বিশ্বের অনেক দেশে বলা হয়, ৫০ বছর বয়স থেকে প্রোস্টেট ক্যানসারের স্ক্রিনিং করতে হবে। স্ক্রিনিং প্রোগরামের মধ্যে রয়েছে রোগীর ইতিহাস নেওয়া, রেক্টাল এক্সামিনেশন- যেটা মলদ্বারে প্রোস্টেটকে অনুভব করা, পিএসএ করা। পঞ্চাশের পর থেকে যেকোনো পুরুষের করা উচিত। তবে কারো পরিবারে যদি এই ক্যানসার থাকে, তাহলে ৪০ বছর বয়স থেকে স্ক্রিনিং করতে হবে। তারা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। প্রোস্টেট ক্যানসার হয়েছে এই বিষয়টি নির্দিষ্ট করতে আমরা প্রোস্টেটের বায়োপসি করি। এটা মলদ্বার থেকে আল্ট্রাসাউন্ড করে, বারোটি এলাকা থেকে বারোটি টিস্যু নিয়ে এসে, পরীক্ষা করা হয়। এটি করলে টিউমারটি কত খারাপ ধরনের সেটি বোঝা যায়। এরপর আমরা পিএসএ লেভেল দেখি। পিএসএ যদি চার ন্যানোগ্রাম থাকে, তাহলে প্রোস্টেট ক্যানসারটা বেশি খারাপ, আমরা ধারণা করি। এরপর আমরা সিটিস্ক্যান করি। সিটিস্ক্যান করলে আমরা দেখতে পাই যে প্রোস্টেট ক্যানসারটা প্রোস্টেটের বাইরে কোথাও ছড়িয়ে গেছে। প্রোস্টেটের ক্যাপসুলের ভেতরে রয়েছে। প্রোস্টেটের বাইরে যেগুলো, যেগুলো প্যালভিক লিম্ফ নোডে যায়, সেগুলো আক্রান্ত কি না আমরা দেখি। এভাবে আমরা পর্যায় ভাগ করি এবং হাড় স্ক্যান করি। হাড় স্ক্যান করে দেখি যে, হাড়ে গেছে কি না।