শিশুদের হৃদরোগগুলো কী?
বড়দের মতো শিশুরাও হৃদরোগে ভোগে। অনেক সময় এটি শুরু হয়ে যায় জন্মের পর পরই। আবার অনেক সময় চার বা পাঁচ বছরে গিয়ে হৃদরোগ প্রকাশ পায়। শিশুদের হৃদরোগ বিভিন্ন ধরনের হয়।
শিশুদের হৃদরোগগুলো কী, এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২৫৯তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান সেলিম। বর্তমানে তিনি ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : শিশুরা কী কী ধরনের হৃদরোগে ভুগতে পারে?
উত্তর : শিশুদের হৃদরোগের মধ্যে প্রথমে আমরা বলি বিভিন্ন ধরনের ছিদ্র। হার্টের চারটি চেম্বার রয়েছে, চারটি ঘর। এদের পরস্পর যোগাযোগ থাকে। তাদের মাঝখানে যে দেয়াল থাকে, দেয়ালের মাঝখানে ছিদ্রের কারণে, শিশুদের হৃদরোগ বিভিন্নভাবে প্রকাশ পেতে পারে। এগুলোর সংখ্যা, অবস্থান ও ধরনের ওপর নির্ভর করে, তারা কীভাবে প্রকাশ করবে, কোন বয়সে প্রকাশ করবে, কোন বয়সে রোগটা প্রথম ধরা পড়বে, চিকিৎসকের কাছে আসবে ইত্যাদি। লক্ষণ বা উপসর্গগুলো তার ওপরে নির্ভর করে।
যদি আমরা সাধারণ হার্টের জন্মগত হৃদরোগের কথা বলি, অ্যাট্রিয়াল সেট্রাল ডিফেক্ট, এটি হলো প্রচলিত হৃদরোগ। এটি নিয়ে অনেকেই আসে, তবে জন্মের পর পরই এই রোগের কোনো উপসর্গ দেখা যায় না। যখন জন্মের পরপর ইকো বা অন্য কোনো পরীক্ষা করা হয়, তখন ইকো করতে গিয়ে এই রোগটা ধরা পড়ে। অনেক সময় দেখা যায়, বাচ্চার মায়েরা বলেন, আমার বাচ্চার ঘন ঘন জ্বর, কাশি হচ্ছে। তবে কোনো পরীক্ষা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে কোথাও গিয়ে এই রোগটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ধরা যায় না। এক্স-রে বা অন্য কোনো পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা যায় সেই বাচ্চাটার এএসডি রয়েছে।
পক্ষান্তরে ভিএসডি যেটা, ভেন্টিকুলার সেপট্রাল ডিফেক্ট, এই শিশুগুলোর আগে প্রকাশ পায়। কারণ, এই ক্ষেত্রে হার্টের ওপর চাপটা অনেক বেশি পড়ে। ফুসফুসের ওপর চাপও খুব দ্রুত পড়ে।