মুখের ঘা : ধরন ও কারণ

মুখের ঘায়ের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। মুখের ঘা বিভিন্ন ধরনের হয় এবং বিভিন্ন কারণেও হয়। মুখের ঘায়ের ধরন ও কারণের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২৬৩তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মো. সাইফুল আজম রনজু।
ডা. মো. সাইফুল আজম রনজু বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ওরাল ও ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারি বিভাগে পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : মুখের ভেতরে ক্ষত বা ঘা আসলে কী রকম হয়ে থাকে?
উত্তর : মুখে মূলত অনেক ধরনের ঘা হয়ে থাকে। প্রবীণ হলে, তাদের ক্ষেত্রে ট্রমাটিক আলসার হয়। অনেকের ধাঁরালো কোনো দাঁত থাকলে, এর কারণে হতে পারে। ভাঙা দাঁত থেকে হতে পারে। ফলস দাঁতগুলো সাধারণত ট্রমাটিকের কারণ হয়।
তরুণদের বেশি যেটি হয়, একে অ্যাফসাস আলসার বলি। এরপর কিছু রয়েছে, যেমন ফাঙ্গাল দিয়ে হতে পারে। ভাইরাল ব্যাক্টেরিয়াল হতে পারে। যেটি সবচেয়ে বেশি ভয়, যেটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে থাকে, সেটি হলো, ওরাল ক্যানসার।
প্রশ্ন : মুখের ঘা কোন ধরনের, সেটি কি ঘায়ের ধরন দেখে বোঝার উপায় রয়েছে?
উত্তর : মুখের ঘা দেখে আমরা নির্ণয় করতে পারি। প্রথমে একটি ইতিহাস থাকে যে কত দিনের। অনেকে যে অভিযোগ করে, আমার আঘাত লাগতে লাগতে জিহ্বাটা ঘা হয়ে যাচ্ছে, অথবা কারো অভিযোগ থাকে, ঘা মুখের বিভিন্ন জায়গায় হয়ে থাকে। মুখের বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন সময় হয়। সাত/আটদিন পর এমনিতেই সেরে যায়। কিন্তু খুব ব্যথা থাকে। এমনকি পানি খেতে গেলেও ব্যথা হয়।
প্রশ্ন : এ ছাড়া অন্য ঘাগুলো কী রকম?
উত্তর : কিছু রয়েছে টিবির জন্য হয়। আমরা এটি খুব বেশি পাই না। আর ইদানীং যেটি খুব বেশি পাই, কিছু প্রি ক্যানসারাস লেশন থাকে। অনেক সময় এই ঘাগুলো ক্যানসারে রূপান্তরিত হতে পারে।
প্রশ্ন : প্রি ক্যানসারাস ঘা হলে বোঝা যাবে কীভাবে?
উত্তর : যেমন মুখে, জিহ্বায় ঘা হয়। মাঝে মাঝে বাড়ে আবার মাঝে মাঝে কমে। কারো ইতিহাস থাকে, সে অনেক সুপারি খেয়েছে। সুপারি খাওয়ার জন্য তার মুখের হা আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে। মুখের ভেতর মিউকোসা সাদা সাদা হয়ে যাচ্ছে। সাধারণত যে গোলাপি রংটা, আস্তে আস্তে চলে যায়। এরই খুব বেশি আশঙ্কা থাকে ক্যানসারে রূপান্তরিত হওয়ার।