বন্ধ্যত্ব কী?
কোনো দম্পতি জন্মনিয়ন্ত্রক পদ্ধতি গ্রহণ ছাড়া এক বছর একসঙ্গে থাকার পরও যদি গর্ভধারণ না করে, তাহলে তাঁরা বন্ধ্যত্ব সমস্যায় ভুগছেন বলা হয়।
বন্ধ্যত্বের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২৭০তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. কামরুন নেসা। বর্তমানে তিনি বিআরবি হাসপাতালের গাইনি ও অবস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : বন্ধ্যত্ব কী?
উত্তর : একটি দম্পতি এক বছরের বেশি কোনো জন্মনিয়ন্ত্রক পদ্ধতি ছাড়া থাকার পরও যদি গর্ভধারণ না করে, তখন আমরা তাকে বন্ধ্যত্বের সমস্যায় ভুগছে বলব।
প্রশ্ন : চাকরির কারণে হয়তো স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকছে, কিন্তু সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করছে, তাদের কি আপনারা বন্ধ্যত্বের সমস্যায় ফেলবেন?
উত্তর : না, তাদের আমরা ফেলব না। মূলত যে পরীক্ষাগুলো করি, সেগুলো করে, তাদের আমরা নিশ্চিত করব, তাদের আমরা পদ্ধতিটা বলে দেবো, কোন সময়টা প্রজনন সময়। সেটি সম্পর্কে সম্পূর্ণ বলে দেবো। গবেষণা করার পর আমরা তাদের বলব, আপনারা অন্তত এক বছর থাকেন। পাশাপাশি কিছু ফ্যাক্টর আমরা দেখি। রোগী ও রোগীর স্ত্রীর বয়সটা দেখি। যদি দেখা যায় নারীর বয়স ত্রিশের ওপর হয়ে গেছে, আমরা তাহলে বেশি সময় নষ্ট করতে মানা করি। যত দ্রুত সম্ভব গর্ভাবস্থার জন্য চেষ্টা করতে বলি। আবার যদি দেখা যায় নারীর বয়স পঁয়ত্রিশের ওপরে হয়ে গিয়েছে, তখন আমরা আরো বেশি তাড়াতাড়ি গর্ভাবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করতে বলি। ছয় মাস বা এক বছর অন্তত তারা চেষ্টা করবে। কোনো অস্বাভাবিকতা থাকলে আমরা তার চিকিৎসা দিয়ে দেবো।